কলকাতা:- শহরের সবকটি জল সরবরাহ কেন্দ্রের নিরাপত্তা উপর জোর দিল কলকাতা পুরসভা। শহরের সবকটি জলশোধন প্রকল্প ও বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে রাখা হবে নিরাপত্তা রক্ষী যাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কোন ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “শহরের জল শোধনাগার ও জলাধারগুলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। এমনিতেই বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে এখানে। যা একদমই আটকানো যাচ্ছে না।”
বিশেষ করে কোন ব্যক্তি যদি এই পরিশোধিত জলে হানিকারক কিছু মিশিয়ে দেয় তবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে গোটা শহরের মানুষ, এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। কিছুদিন আগেই শহরের দুটি পাম্পিং স্টেশন থেক অজ্ঞাত পরিচয়ের দুজন ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ধীরে ধীরে সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে জল সংশোধন প্রকল্পগুলি। তাছাড়া জল পরিশোধন প্রকল্পের যন্ত্রাংশ চুরি যাওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।
তাই আগাম সতর্কতা হিসেবেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। ইতিমধ্যেই পলতা ,গার্ডেনরিচ জলশোধনাগার ও টালা জলাধারে বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। এখন থেকে শহরের ৫ টি জল শোধনাগার ও ৩৫ টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে তিনটে করে শিফটে একজন করে লাঠিধারী নিরাপত্তারক্ষী ও একজন করে স্বশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী রাখা হবে ও ওভারহেড রিজার্ভারে রাখা হবে একজন করে লাঠিধারী নিরাপত্তারক্ষী।
উল্লেখ্য, পলতা ও গার্ডেনরিচে নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আউটপোস্ট তৈরি করা হয়েছে।অন্যদিকে, দেশপ্রিয় পার্ক, ভবানীপুরের টাউনশেড রোডে ৩ লক্ষ গ্যালন জলধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও এস সি মল্লিক রোডের অচেনা পার্কে ২ লক্ষ গ্যালন জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজের কাছে প্রস্তাবিত ১০ লক্ষ মিলিয়ন গ্যালন জলশোধনাগার তৈরির জন্য বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, এমনটাই খবর পুরসভা সূত্রে।