Date : 2024-04-19

দেরিতে স্কুলে আসায় দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রধান শিক্ষককে শাস্তি দিল অভিভাবকরা….

ওয়েব ডেস্ক:- নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত না থাকলে শাস্তি পেতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। একই অপরাধের শাস্তি থেকে শিক্ষকই বা বাদ যান কেন? স্কুলে প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় ডকে উঠেছে লেখাপড়া এই অভিযোগ করে ওই শিক্ষককে স্কুলের কাছে একটি খুঁটিতে বেঁধে রেখে শাস্তি দিলেন অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝালদা থানার পুস্তি গ্রামে। ঝালদা তিন নম্বর চক্রের অন্তর্গত পুস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই অবস্থা থেকে রেহাই দেয় পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত দুই গ্রামবাসিকে গ্রেফতার করে ঝালদা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রামচন্দ্র কুমার ও গুরুদাস পরামানিক। দুই জনেরই বাড়ি পুস্তি গ্রামে।

ইউনিফর্ম পরে আসেনি, সারাদিন বস্ত্রহীন করে রেখে ছাত্রীদের শাস্তি দিল স্কুল

জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক গাঙ্গুলি নিয়মিত সময়মতো আসেনা না স্কুলে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ওই স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই অভ্যাস ছিল প্রধান শিক্ষকের। স্কুলে প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার ফলে পড়াশোনা ঠিক মতো হত না। মিড মিল থেকে বঞ্চিত থাকত পড়ুয়ারা। অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ফল হয়নি। এর প্রতিবাদ করে ওই শিক্ষককে তালা বন্দি করে রেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। শিক্ষক সেখান থেকে কোনভাবে মুক্ত হলেও স্কুলে তালা দিয়ে এক সপ্তাহ বন্ধ রেখেছিলেন গ্রামবাসীরাই। প্রশাসনিক আধিকারিকরা স্কুলে গিয়ে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছিলেন। এর পর গ্রামবাসিরা স্কুলের তালা খুলে দিয়েছিলেন।

বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পিছিয়ে গেল পরীক্ষা

কিন্তু এর কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের একই ভাবে স্কুলে যেতেন না ওই শিক্ষক এমনটাই অভিযোগ অভিভাবকদের। পুঞ্চা থানার বদড়া গ্রামের বাসিন্দা দীপক গাঙ্গুলি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেখানে নানা অভিযোগের কারণে তিন বার বদলি করা হয় ওই শিক্ষককে। শেষবার বদলি করে তাঁকে পাঠানো হয় ঝালদার পুস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানেও তাঁর স্বভাব ও অভ্যাস বদল হয়নি। যদিও শিক্ষকে এইভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় শাস্তি দেওয়ায় তীব্র নিন্দা করেছে জেলার শিক্ষক মহল।