কলকাতা:- শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়োয় পড়ে যাওয়ার পর থেকেই চলেছে আপ্রাণ চেষ্টা। দমকল, ডিজাস্টার মেনেজমেন্ট গ্রুপ ২০ ঘন্টার দফায় দফায় চেষ্টার পরেও জীবত অবস্থায় উদ্ধার করা গেল না বাঁশদ্রোণীর যুবক সম্রাট সরকারকে। উদ্ধারকারীদের দাবি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিল না। অবশেষে পাতকুয়ো মিস্ত্রি ডেকে উদ্ধার করা হয় মৃত যুবক সম্রাট সরকারের মৃতদেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, মৃত যুবক সম্রাট সরকারের মৃগী রোগ ছিল। অসুস্থতার জন্য তার কর্মসংস্থান ছিল না। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়োপাড়ে বসে স্নান করার সময় হঠাৎ-ই পা পিছলে জলে পড়ে যান ওই যুবক। কুয়োর গভীরতা প্রায় ৫০ ফিট ছিল।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা যুবককে কুয়ো থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন কুয়ো থেকে জল ফেলে, ক্রেন নামিয়ে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে ডুবুরি নামানোর চেষ্টা হয়। ৩০ ফুট নীচে নামার পর ডুবুরির পক্ষেও সম্ভব হয়নি। জানা যায়, ৫০ ফুট নিচে কাদার মধ্যে আটকে পড়েছে সম্রাটের দেহ। প্রবল ঠাণ্ডা ও কুয়োর পথ সংকীর্ণ হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় উদ্ধারকারী দলকে।
এরপর শনিবার সকালেও জল ছেঁচে ফেলার কাজ শুরু হয়। কুয়োয় নামে পাতকুয়ো মিস্ত্রি মেঘনাদ সরকার ওই কুয়োয় নামেন। মাটি কেটে মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বাপির নিথর দেহ উদ্ধার করা হল। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ নিহতের পরিজনেরা। তাদের অভিযোগ, উদ্ধারকার্যে গাফিলতি ছিল দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের।