Date : 2024-04-19

গাছের মধ্যে থেকে আবির্ভূত মায়ের চরণ! শুরু হয়েছে পুজোপাঠ….

জলপাইগুড়ি:- লেখক শিবরাম চক্রবর্তীর রচনা ‘দেবতার জন্ম’ গল্পটির উদাহরণ দিয়ে শুরু করলেই যথাযথ হবে।”দেবতার জন্ম”র কাহিনীকারের পায়ে পথের ধারে পড়ে থাকা একটি পাথর রোজ লাগত। লেখক একদিন সেই পাথ তুলে পথের ধারে একটি গাছের নীচে রেখে দেন। তারপরে যা হয়েছিল গল্পের পাঠকদের তা আর বিস্তারিত ভাবে না বললেও চলে। এই ঘটনাটিও কিছুটা তেমনই। জলপাইগুড়ি পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সেনপাড়ার সন্দীপন ব্যায়ামাগার সংলগ্ন কালী মন্দিরের পাশই রয়েছে একটি বট গাছ। সেই গাছের মধ্যে থেকে হঠাৎ-ই বেরিয়ে এসেছে গাছের একটি বর্ধিত অংশ। সেই অংশটিকেই মন্দিরের মা কালীর পা বলে বিশ্বাস করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সেই পা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। মন্দির চত্বরে ওই বট গাছ ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোপাঠ। দেব দর্শন সৌভাগ্যবানের হয়। বাংলার লোককথা বলে দেবীর দর্শন করে সাধক রামপ্রসাদ স্মরণীয় হয়ে আছেন।

ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেব পরমহংস হয়েছেন, অথচ সেই দেবীর দর্শন নাকি এত সহজে পেয়ে গেলেন জলপাইগুড়ির সেনপাড়ার বাসিন্দারা! গাছের মধ্যে থেকে বেড়িয়ে এসেছে কালচে লাল রঙের একটি অংশ। সেটাই মায়ের রাঙা চরণ! স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে মন্দিরের মা কালী খুব জাগ্রত। কেউ তাঁর দরজায় হাত পেতে খালি হাতে ফিরে যান না। মা কৃপা করেই গাছের মধ্যে থেকে দর্শন দিয়েছেন এই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে বসে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বোট্যানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী (সায়েন্টিস্ট ডি) ডঃ মানস ভৌমিক এই ছবি দেখে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “এই ধরনের গাছ থেকে অনেক সময়ই আঠা বার হতে দেখা যায়।

শিক্ষাঙ্গনের আদর্শের সঙ্গে পৌষমেলাকে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন গুরুদেব

এটি গাছের আঠা বলেই মনে হচ্ছে।” গাছের আঠার রং সাধারণত সাদা হয়। তবে বেশকিছুদিন ধরেই আঠা জমে রাসায়নিক বিক্রিয়া রঙ বদলে কিছুটা কালচে লাল রঙ হয়েছে, ডঃ মানস ভৌমিক এমনটাই জানিয়েছেন। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ জানিয়েছে, এই ঘটনা স্বাভাবিক ও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বিষয়।

বড়দিনে নিঃশব্দে নিলাম হতে চলেছে চন্দ্রযান-২

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পার্থসারথি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “এই ঘটনা এখনও চাক্ষুস করিনি। এর আগেও এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। সেক্ষেত্রেও আমরা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রেও অলৌকিক কিছু ঘটেনি বলেই বলতে পারব।” বিজ্ঞান যতই বোঝাক, এর আগেও গনেশের দুধ খাওয়ার মতো ঘটনাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল দেশে। জলপাইগুড়ির সেনপাড়ার মতো অঞ্চলে এমন ঘটনা নিয়ে পুজোপাঠ শুরু হওয়া তাই নতুন কিছু নয়।