Date : 2024-03-28

এক কোলে সন্তান অন্য কোলে প্রকৃতি! ২০ লক্ষ গাছের ‘সিঙ্গিল মাদার’ ইনি…

ওয়েব ডেস্ক:- নাম আনাসুয়াম্মা। তেলেঙ্গানার পাস্তাপুরের বাসিন্দা এক সাধারণ মহিলা। আপাত দৃষ্টিতে এটাই তার পরিচয়। কিন্তু তাঁর কাজের পরিসংখ্যান নিলে তিনি একজন অসামান্যা নারী বলা যেতে পারে। তিনি একজন সিঙ্গল মাদার। তার থেকেও বড় পরিচয়, ইনি একজন পরিবেশকর্মী। ৪৯ বছরের এই জীবনে তিনি ২২টা গ্রাম জুড়ে প্রায় ২০ লক্ষ গাছ লাগিয়েছেন। যার স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত থেকে নিউ ইয়র্ক। তবে জীবনের শুরুটা ছিল একেবারে অন্যরকম। আর্থিক কষ্টের কারণে পড়াশুনো হয়নি তাঁর। অল্পবয়সেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের পরের জীবনটাও শান্তির নয়। একমাত্র দত্তক সন্তান ও তাঁকে ফেলে রেখে বেপাত্তা হয়ে যান তাঁর স্বামী। মাত্র ২৫ বছর বয়সে শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। আত্মীয় পরিজনদের কুকথা শুনেও থেমে থাকেননি তিনি। চেষ্টা করেছেন চাকরি করার। সেখানেও কিছুটা নিরাশ হতে হয় তাঁকে।

একসঙ্গে “ছুটি” কাটালেন শাশ্বত-ঋতুপর্ণা, মুখোমুখি আর প্লাস নিউজের

এমন অবস্থা যখন, তখন একদিন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ডেকান ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ডিডিসি) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে। সেই থেকে শুরু হল আনাসুয়াম্মা আর ডিডিসি’র কাহিনী। এখানে কাজ শুরু করলেন তিনি। সেই সঙ্গে শুরু করলেন বৃক্ষরোপণের চেষ্টা। ডিডিসি থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করলেন নিজের কাজ, নিজের ‘পৃথিবী মা’-কে বাঁচানোর কাজ। প্রতিটা জায়গার মাটি বুঝে তারপর গাছ লাগান তিনি।

আলিয়া না কিয়ারা! নাম বিভ্রাটের ফাঁসে অভিনেত্রী 

একটা দুটো করতে করতে, ২৫ বছর পরে আজ সেই গাছের সংখ্যা ২০ লক্ষ! তেলেঙ্গানার ২২টি গ্রামে বিস্তৃত আছে তাঁর এই কাজ। স্বীকৃতিও মিলেছে বিদেশ থেকেও। সম্প্রতি ইউনেস্কোর তরফ থেকে আনাসুয়াম্মা এবং ডিডিসি-কে সম্মানিত করা হয় নিউ ইয়র্কে। পুরস্কৃত করা হয় তাঁদের এই বিস্তৃত কাজকে। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের জবাব ফিরিয়ে দেন তিনি। ৪৯ বছরের আনাসুয়াম্মা এখন নিজের সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে এই পৃথিবীরও জননী হয়ে উঠেছেন। সেবা করে চলেছেন ২০ লক্ষ গাছের।