হুগলি:- অ্যান্ড্রয়েড ফোনে চোখ রেখে রাতের ঘুম অনেকদিন আগেই মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। তবে জীব জন্তুর সঙ্গে তেমন শত্রুতা ছিল না। শীতের দিনগুলোয় পরিশ্রম একটু কম। তাই নিজের হোম সুইট হোমে ঘুমিয়ে, বিশ্রাম নিয়ে দিন কাটায় পোকা-মাকড়, সাপ-খোপ। খোলা আকাশের নিচে একটু শান্তিতে চড়ুইভাতি করতে পারে মানুষ। তবে হুগলির পোলবার গোয়ালজোর গ্রামে ভরা শীতেও কাটল না ঘন বর্ষারদিনের আতঙ্ক। সারা গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চন্দ্রবোড়ার দল। যত শীত বাড়ছে তত গর্ত ছেড়ে দলে দলে বেরিয়ে পড়ছে চন্দ্রবোড়ারা। শীত থেকে বাঁচতে একটু রোদ চাই ওদের। খোলা মাঠে, ধান ক্ষেতে রাস্তার ধারে গুটিসুটি মেরে পড়ে আছে বিষধর সাপ। সাপের সঙ্গে সঙ্গে তাই হুগলির পোলবার বাসিন্দাদের রাতের ঘুম গেছে। সাপের উপদ্রব যতই বাড়ুক তবু তাকে মারার পথে হাঁটছে না এলাকার মানুষ
চাষীরাই প্রাণীকূলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সাপ মারতে বাধা দিচ্ছে। প্রানীবিদদের বক্তব্য, ওদের ক্ষতি না করলে ওরাও মানুষের ক্ষতি করে না। এই মুহুর্তে চাষিরা ক্ষেত থেকে আমন ধান তোলেন। আর ক্ষেত-খামার, মাঠঘাট সর্পকূলের বাসস্থানের জন্য সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে।
তবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন চন্দন ক্লেমেন্ট সিং নামে এক পশুপ্রেমী। গ্রামবাসীদের সকলকে তিনি নিজের নম্বর দিয়ে রেখেছেন। সাপ গর্ত থেকে বেরিয়ে পড়লেই তাঁকে ফেন করছেন গ্রামবাসীরা। ফোন পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে সেই স্থানে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। সাপ ধরে জঙ্গল বা জনশূন্য স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসছেন। মানুষের থেকে সাপের ভয় আর মানুষের সর্প আতঙ্ক দুয়ের মাঝে তিনি এখন রক্ষাকর্তা।