কলকাতা:- প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ এনেছিল স্কুল পরিচালন সমিতি। সমিতির এই অভিযোগকে মান্যতাও দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অথচ যে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে,তারাই জানতেন না-ঠিক কি অভিযোগ আনা হয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে! এমনকি অভিযোগ করার ক্ষেত্রে সমিতি অভিভাবকদের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষক লড্ডন খানের।
পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলের এই মামলায়, সোমবার স্কুল পরিচালন কমিটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। ৮ জানুয়ারির মধ্যে জরিমানার অর্থ প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রধান শিক্ষকের পক্ষের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ ছিল, শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সহ- ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে পরিচালন সমিতি ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাঁকে স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছিল না। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। সেই নিয়ে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্বারস্থ হলে প্রধান শিক্ষককে স্কুলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০১৯ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সমিতি। উল্টো দিকে প্রধান শিক্ষক তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, ওই স্কুলের কিছু শিক্ষক জাল শংসাপত্র জমা দিয়ে চাকরি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিচালন সমিতির ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। আইনজীবী জানান, ছাত্রীদের দিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ লেখানো হয়েছে। অথচ তারা জানেনই না প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন পরিচালন সমিতি মামলা র শুনানি জন্য পরবর্তী সময় চাইতে গেলে পরিচালন সমিতিকে জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।