ওয়েব ডেস্ক:- বুলবুল আছড়ে পড়ার পর ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খবর নিতে দিল্লি থেকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী, এমনকি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল এসে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করে যায়। এরপরে এখনও কেন্দ্রের তরফে কোন সাহায্য এসে পৌঁছায়নি রাজ্যে, বিধানসভায় এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত কিছুই পাইনি। রাজ্যের তরফে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পাঠানো হয়েছে। তবে কেন্দ্রের তরফে এখনও কোন টাকা আসেনি।” বুলবুল ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকা ধানের। যেহেতু এই সময়টা পাকা ধান তোলার সময় ঝড়ের তাণ্ডবে সেই ধান নষ্ট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বুলবুল বিপর্যয় ‘পাকা ধানে মই’ দেওয়ার মতো ঘটনা। এর আগে ওই একই জায়গায় আয়লার তাণ্ডবে ধ্বংস হয়েছিল অসংখ্য বাড়ি-ঘর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আয়লার পর আমরা অনেক ফ্লাড সেন্টার করেছি।
একশো থেকে দুশো ফ্লাড সেন্টার করেছি। ফ্লাড সেন্টারের সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়ানো হবে। বুলবুলের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এমনটাই পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। রাজনৈতিক কারণেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে গরিমসি করছে কেন্দ্র এমনটাই ধারনা তৃণমূলের। প্রসঙ্গত, বুলবুল বিপর্যয়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শনের জন্য বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী যান। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন তারা। ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘ত্রাণের টাকা তছরুপ করবে বাজ্য সরকার, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীদের এলাকা পরিদর্শনে সুপরিকল্পিত ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।’
এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অঙ্গনওয়াড়ি প্রসঙ্গে জানান, আগে অনেক টাকা কেন্দ্রের থেকে আসতো। এখন সেই টাকা কেন্দ্র কমিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্র ৪০% টাকা কমিয়ে দিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। অঙ্গনওয়াড়ি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের,তাই কেন্দ্রের পাঠানো টাকার সঙ্গে রাজ্য সরকারও বাড়তি টাকা যোগ করে অঙ্গনওয়াড়ি চালু রাখা হবে। এছাড়া এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তিন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়লাভকে রাজ্যের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনী সাফল্যের জন্য মানুষকে শুভেচ্ছা জানাতে আগামী ৯ ডিসেম্বর খড়গপুরে সভা করবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।