কলকাতা:- পেঁয়াজের ঝাঁজে চোখে জল বাঙালির। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেরই বক্তব্য শীতের বাজারে একাই ১৫০ পেঁয়াজ। শুধু পেঁয়াজ কেন, মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে শীতের সব্জি। শিম, বেগুন, কুমড়ো, পেঁয়াজকলিতে হাত ছোঁয়ানো দায় হয়েছে সাধারণ মানুষের। মাংস রান্না করতে অত্যাবশ্যকীয় পেঁয়াজ, সেই মুরগীর মাংসের দাম পেঁয়াজের থেকে কম,১২০ টাকা প্রতি কেজি! কাজে লাগছে না কোন দাওয়াই, তাই সরেজনিমে বাজার দর খতিয়ে দেখতে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে যাওয়ার পথে নেমে পড়লেন যদুবাবু বাজারের সামনে। কনভয় ছেড়ে ঢুকে পড়লেন সব্জি বাজারে।
একের পর এক সব্জি দর করে দাম জানতে চাইলেন বিক্রেতাদের থেকে, কথা বললেন ক্রেতাদের সঙ্গেও। যদুবাবু বাজারে বিক্রেতাদের কাছে জানতে চাইলেন, পেঁয়াজের এতো দাম কেন? উত্তরে বিক্রেতারা বলেন, ১৪৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন তারা। পেঁয়াজের দাম সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে আকাশ ছোঁয়া বাজারদর সামলাতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যের। পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে অন্য রাজ্য থেকে পেঁয়াজ কিনেছে রাজ্য।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সোমবার থেকে শহর ও গ্রামের রেশন দোকানগুলিতে বাজারের থেকে কম মূল্যে মিলবে পেঁয়াজ। এতে কিছুটা হলেও পকেট বাঁচবে মানুষের। বাজারদরের অর্ধেক দামে রেশনে মিলবে পেঁয়াজ। রবিবার একথা জানান রাজ্যের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপাতত পাইকারি বাজার থেকে ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ কিনে ৯৩৫টি কাউন্টারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে।
এর খরচ বহন করবে সরকার। পরিবার পিছু ১ কেজি পেঁয়াজ দেবে সরকার। কেজি পিছু দেওয়া হবে ৫০ টাকা ভর্তুকি। এক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম পড়তে পারে ৫৯ টাকা প্রতি কেজি। কার্যক্ষেত্রে কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত হয়েছে, সোমবার শহরের রেশন দোকানে পেঁয়াজ আসলেও নিমেশের মধ্যে তা বিক্রি হয়ে গেছে। পেঁয়াজের জন্য শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে রেশন দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।