পুরুলিয়া:- বেগুনকোদার এই নামটির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে অলৌকিককাণ্ড। অনেকেরই দাবী পুরুলিয়া জেলায় অবস্থিত এই অঞ্চলটির স্টেশন রাতের বেলা হাঁড় হিম করা সব ভুতুড়ে কারবারের সাক্ষী। ভুতের আতঙ্কে স্টেশনে থাকেন না কোন জনপ্রাণী। ভুত আছে কি নেই সেই ঘটনা প্রমান করতে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা চলেছে বেগুনকোদর স্টেশনে। ভুতের আতঙ্ক বলে কথা, সে কি আর এক জায়গায় আটকে থাকে। স্টেশন থেকে ভুত কি তবে গ্রামে এসে পড়েছে। সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে।
পুরুলিয়ার বেগুনকোদারে নাকি বরফ পড়েছে! কিন্তু এ একেবারেই অসম্ভব ঘটনা। শীতের মরসুমে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা এখন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় বরফ পড়া সম্ভব নয়। তাই অনেকেই বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেগুনকোদারের নাম করে ভুয়ো পোস্ট করা হয়েছে। তবে অনেকেই দাবী করছেন যে তারা স্বচক্ষে বেগুনকোদারে খড়ের গাদার উপর বরফ পড়ে থাকতে দেখেছেন। এমনকি তারা হাত দিয়েও দেখেছেন যে খড়ের উপর সাদা হয়ে বিছিয়ে আছে বরফ কুচি। ঘটনাস্থল ভূতুড়ে বেগুনকোদর হওয়ায় সহজেই অনেকে বিশ্বাস করে নেন তুষারপাতের কথা। অলৌকিক বিষয়ের যোগ রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।
তবে কেউ আবার তুষারপাতের ঘটনা আদৌ কতটা সত্য তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারণ, বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা ০ ডিগ্রিতে না নামলে তুষারপাত সম্ভব নয়। কিন্তু পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৬ ডিগ্রির আশেপাশে। তবে কীভাবে সেখানে তুষারপাত সম্ভব? এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনেকেই দাবি করেন ইচ্ছাকৃত ভুয়ো ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেটে। তবে আবহাওয়াবিদদের মত, বেগুনকোদারের ঘটনা সত্যি না মিথ্যে তা প্রামান্য বিষয়।
যেহেতু পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা প্রায় ৫-৬ ডিগ্রির কাছাকাছি সেহেতু খড়ের উপর কোন কারণে জল পড়ে থাকলে তা সহজে জমে বরফ হয়ে গেছে আচমকায়। তবে ৬ ডিগ্রিতে আদৌ কি জল জমে বরফ হয়? আবহাওয়াবিদদের মত, অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন অঞ্চল বেগুনকোদার পাথুরে। মাটিতে জল পড়ে থাকলে এখানে খুব সহজেই জমে যেতে পারে। কারণ মাটি পাথুরে হওয়ায় দ্রুত তাপ বিকিরণ করে ফেলে। সেই মাটির সংস্পর্শে জমে যেতে পারে জল। যদিও এই তুষারপাত নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।