ওয়েব ডেস্ক:- সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে শ্যুটিং করার অভিযোগ উঠল পরিচালক সৃজিত মুখার্জির বিরুদ্ধে। অঞ্চলের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে তথ্য না থাকায় এমন কাজ করে ফেলেছেন, সংবাদমাধ্যমকে সেই কথাই জানিয়েছেন সৃজিত মুখার্জি। অনিচ্ছাকৃত ভুল করার পরেও তাঁকে গুনে গুনে ২৪ হাজার টাকা ফাইন জমা দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মূর্তি নদীর ধারের জঙ্গলের কাছে একটি ছবির শ্যুটিং করছিলেন সৃজিত মুখার্জি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গুরুমারা জাতীয় অভয়ারণ্যেক কাছে ড্রোন উড়িয়ে শ্যুটিং করছিলেন তিনি। যদিও তাঁর কাছে এ বিষয়ে কোন অনুমতিপত্র ছিল না। সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় পর্যটকদের সামনে বিষয়টি আসার পরেই শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও শ্যুটিং চলাকালীন কোন আপত্তি জানায়নি স্থানীয় প্রশাসন বা বন দফতর। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা মূর্তি নদীর ধারে শুটিং করছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল যে, নদীর ওপার থেকে জঙ্গল শুরু এবং এপারের অংশ টেরিটোরিয়াল।
ওপারে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি ছিল না। এপারে, যেখানে লোকজন বনভোজন করতে আসেন, নানা ধরনের দোকান ও হোটেল আছে আমরা সেই দিকেই শুটিং করছিলাম। ড্রোন উড়িয়ে শুটিং শুরু করতেই দু’জন বনকর্মী এসে আমাদের বলেন যে ড্রোন ওড়ানো যাবে না। ওঁরা বলেন যে মূর্তি নদীর এপার টেকনিক্যালি জঙ্গল না হলেও তা জঙ্গল এলাকার মধ্যেই পড়ে। তাই নিয়মটি মূর্তি নদীর এপারেও প্রযোজ্য। এই নিয়মটি আমাদের জানা সম্ভব ছিল না।
আমি কোঅর্ডিনেটরকে নিয়মটি জিজ্ঞাসা করি, উনিও ধন্ধে পড়ে যান। ওঁরা বলামাত্রই আমরা অবশ্য ড্রোনটি নামিয়ে নিয়েছিলাম। শুটিং বন্ধ করিনি, তবে ড্রোনের শুটিং বন্ধ করে দিই।” শ্যুটিং চলাকালীন ড্রোন ব্যবহার করার সময় সেই ভিডিও পৌঁছে যায় বনদফতরের হাতে। বনদফতরের তরফে নির্দেশ দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বন্দ করে দেওয়া হয় শ্যুটিং। সৃজিত মুখার্জি জানিয়েছেন, নিতান্তই যদি শ্যুটিং করতে হয় তবে দিল্লি থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ইতিমধ্যে পরিচালক দিল্লিতে অনুমতি চেয়েও পাঠিয়েছেন। তবে এখনই যদি অনুমতি না পাওয়া যায় তাহলে বদলে ফেলা হতে পারে ড্রোনের শর্টগুলি।