ওয়েব ডেস্ক:- প্রতিবন্ধী বা যৌন ক্ষমতায় অক্ষম পাত্রের পাত্রী চাই, অথবা সন্তান ধারনে অক্ষম পাত্রীর পাত্র চাই, এমন বিজ্ঞাপন আক ছাড় দেখা যায়। কাগজে পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে অনেক ক্ষেত্রেই পাত্র বা পাত্রীর পক্ষ থেকে তাদের চাহিদা বা অসুবিধার কথা সরাসরি জানিয়ে দেন। এনআরসি নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। সঠিক নথিপত্র দেখাতে না পারলে ভিটে, মাটি ছাড়তে হতে পারে এই আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে বহু মানুষের। ঘর, বাড়ির পাশাপাশি যদি বউ ছাড়তে হয়! কি সর্বনাশ হবে বুলন তো? অনুপ্রবেশকারী বউ নৈ বৈ চঃ। বউ নিশ্চিত করার জন্য এমন আশ্চর্য পাত্র-পাত্রী বিজ্ঞাপন দিলেন এক ব্যক্তি। রীতিমতো সময়ের হিসাব করে নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এই ব্যক্তি।
বিজ্ঞাপনে লেখা আছে, ঘোষ ২৯/ ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি, হাই স্কুল শিক্ষক, এইচ এস পাস, ৫ ফুট ১ ইঞ্চি ঊর্ধ্বে ভারতীয় ১৯৭১-এর আগের প্রমাণ-সহ ঘোষ পাত্রী চাই। ২৯ বছর বয়সী পাত্রের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণায়। কর্মসূত্রে তিনি থাকেন মুর্শিদাবাদে। যে ফোন নম্বরটি সংবাদপত্রে দেওয়া রয়েছে, সেটি পাত্রের জামাইবাবুর। বিজ্ঞাপন দেখে তাই সোমবার বিকেলে ফোন করা হল সেই নম্বরে। প্রথমটায় বলতে না চাইলেও পরে জামাইবাবুই যুক্তি দিয়ে বোঝান বিষয়টি। “দেখাশোনা করে যখন শ্যালকের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তখন সব কিছু যাচাই করে নেওয়াই ভাল নয় কি!
বিয়ের পর যদি এনআরসিতে নাম বাদ যায়! তবে তো অন্য দেশে পাঠিয়ে দেবে বউকে। বিয়ের পর বউ চলে গেলে তখন শ্যালকের হবে কী! তার চেয়ে আগে থেকেই সব দেখে নেওয়া ভাল।” বলেন জামাইবাবু। পাত্রের বিশেষ কিছু চাহিদা নেই শুধু নাগরিকত্বের প্রমান না থাকলে সেই পাত্রীকে বিয়ে করতে পারবেন না পাত্র। পাত্রীর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড থাকলেই চলবে না, ১৯৭১ সালের আগে তার পরিবার যে এই দেশেই ছিল তার প্রমাণ দরকার।
পাত্রের সাফ যুক্তি, এনআরসি নিয়ে যা অশান্তি চলছে তাতে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের কোন গুরুত্ব আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই দীর্ঘদিন ধরে যে পাত্রীর পরিবার এই দেশে আছে তাকেই বিয়ে করবে পাত্র। এমন বিজ্ঞাপন খবরের কাগজে বেরতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। অনেকেরই বক্তব্য ঘটি-বাঙালের তরজা ছেড়ে ১৯৭১ সালে আগে দেশে পরিবার ছিল নাকি ছিল না তাই নিয়ে নতুন তরজা শুরু হতে চলেছে। মাথা ব্যাথার বিষয় একটাই এনআরসি।