ওয়েব ডেস্ক:- বিচার চেয়ে এক বছর ধরে লড়াই জারি রেখেছিলেন তিনি। এক অন্যায়ের বিচার হওয়ার আগেই আরও এক অন্যায় হয়ে গেল তাঁর উপর। উন্নাও ধর্ষণে অভিযুক্তরা জামিন পাওয়ার পর গায়ে আগুন দিয়ে মারল উন্নাও নির্যাতিতাকে। এক বছর ধরে চলছিল আইনি লড়াই, দোষীদের শাস্তির জন্য বার বার হাজিরা দিচ্ছিলেন কোর্টে। দু দিন আগে সেই মামলার শুনানির জন্য আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার আগে দুষ্কৃতিরা তাঁর উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, শুনানিতে উপস্থিত হয়ে যাতে সে মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য আদালতে যাওয়ার পথেই তার গায়ে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর টানা ৪৮ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানতে হয় উন্নাও গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতাকে। শুক্রবার রাত ১১:৪০ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে উন্নাওকাণ্ডে নির্যাতিতার। প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর শরীর। ঘটনার দিন সকালে তিনি রায়বেরিলিতে পৌঁছনোর জন্য স্টেশনে যায়। সেখানেই তাঁকে ধাওয়া করে পাঁচ দুষ্কৃতি। যার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী এবং শুভম ত্রিবেদীও ছিল। তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে নির্যাতিতার পায়ে সজোরে আঘাত করে।
গলায় ছুরি চালায়। এরপর পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগা অবস্থা নির্যাতিতা ছুটতে ছুটতে প্রাণ ভিক্ষা করেন পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মাসে অভিযুক্ত শিবম ও শুভমকে উন্নাও ধর্ষণে জড়িত থাকার কারণে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৫ দিন আগে তারা জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। জামিন পাওয়ার পরেই তারা এই ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যদিও যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ঘটনায় দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা হবে। দোষীদের কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হবে।