Date : 2024-04-19

বহিরাগত বাছতে তালিকায় ১০ হাজার মোবাইল নম্বর, ফাঁপরে দিল্লি পুলিশ

ওয়েব ডেস্ক : জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি নিয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে খড়ের গাদায় সূচ খোঁজার কাজে নামল দিল্লি পুলিশ। রবিবারের তাণ্ডবের সূত্রে তাদের হাতে অন্তত ১০ হাজার মোবাইল নম্বরের তালিকা হাতে এসেছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) চৌহদ্দি এবং আশপাশ মিলিয়ে তারা এই নম্বরগুলি পেয়েছে।

ওই তালিকা থেকে ছাত্রছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, নিরাপত্তারক্ষী এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাদ দিয়ে বাদবাকিদের ‘বহিরাগত’ হিসাবে চিহ্নিত করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের মতে, এই বহিরাগতরাই হিংসা ও অশান্তিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে। মঙ্গলবার পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে একটি আরজি জানিয়েছে। তারা সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে সাধারণ নাগরিকদের সহায়তা চেয়েছে।

আরও পড়ুন : ইরাকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ডেপুটি কমিশনার জয় তিরকের নেতৃত্বে ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল এই কেস দেখছে। বিবৃতিতে দিল্লি পুলিশ বলেছে, ‘‘যাঁরা রবিবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কিংবা ওই ঘটনার ব্যাপারে যাঁদের কাছে তথ্য আছে কিংবা যাঁরা তাঁদের মোবাইল ফোন কিংবা ক্যামেরায় কোনও তৎপরতা ধরতে পেরেছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ, এগিয়ে আসুন আর তাঁদের কাছে থাকা বিবৃতি/ ফুটেজ/ ছবি পুলিশকে দিন। সাত দিনের মধ্যে নয়াদিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্লকে সিটের কাছে তাঁরা তাঁদের হাতে থাকা ওই তথ্য জমা দেওয়ার সুযোগ নিন।’’

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ‘ফ্রি কাশ্মীর’ প্ল্যাকার্ড, তরুণীর বিরুদ্ধে এফআইআর

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অন্তত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন প্রায় আড়াইশ মানুষ। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে বহু মানুষ হতাহত হন। ওই বিস্ফোরণের সূত্রে মুম্বই পুলিশের হাতে দুটি পাকিস্তানি পরিবার ধরা পড়ে। মুম্বইয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য তাদের তালিম ও বিস্ফোরক দিয়ে পাঠিয়েছিল পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই।

পরিবার দুটি যে সন্দেহজনক, সে কথা মনে হয়েছিল প্রতিবেশি এক দর্জির। তিনিও মুসলমান। তাঁর সন্দেহের কারণ, একবার ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের সময় প্রতিবেশি পরিবারটি টিভিতে খেলা দেখছিল। পাকিস্তান জেতার সময় দুটি পরিবারের নারী-পুরুষ সকলে মিলে খুব আনন্দ করছিল, হাততালি দিচ্ছিল। সন্ধেবেলা কাজ সেরে ফিরে ঘরের তালা খোলার সময় ওই দর্জি ভদ্রলোক তা শুনতে পান। তাঁর ঘোরতর সন্দেহ হয়। তিনি পুলিশে খবর দেন। দুটি সন্ত্রাসবাদী পরিবারই ধরা পড়ে যায়। দিল্লি পুলিশও জেএনইউ-র হিংসার সূত্রে তেমনই বহিরাগতদের খোঁজে নেমেছে।