ওয়েব ডেস্ক: তীব্র গরম আর খরার দোসর দাবানল। প্রকৃতির রোষের মুখে অস্ট্রেলিয়ার বন্যপ্রাণীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রবল গরমে প্রতি বছরই অস্ট্রেলিয়ায় শুকিয়ে যায় নদী-নালা। একদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা ও পশুপাখিদের পানিয় প্রচুর জলের প্রয়োজন হচ্ছে। তৃষ্ণার্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্য পশুপাখি। জলের সমস্যা মেটাতে এবার অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১০ হাজার উট হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। কিন্তু খরার প্রকোপ কাটাতে নির্বিচারে উট হত্যা করার কারণ কি সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, খরাপ্রবন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় আনাঙ্গু অঞ্চলে নদ-নদী থেকে প্রচুর পরিমানে জল খেয়ে ফেলছে। এই অঞ্চল উপজাতি অধ্যুষিত, উট জল খেয়ে নেওয়ার ফলে দাবানল থামানের জন্য পর্যাপ্ত জল মিলছে না।
তৃষ্ণায় প্রাণ হারাচ্ছে একাধিক বন্যপ্রাণী। সূর্যের তাপ যেন ক্রমশ দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। এই অঞ্চলের স্থানীয় এগজিকিউটিভ বোর্ড সদস্য মারিতা বেকার জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে উটগুলিকে গুলি করে মারা হবে। উটগুলিকে গুলি করে মারার সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী মানুষের প্রতিবাদের মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধিও পাচ্ছে এই কারণে এমটাই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার উট মারা হবে। বন্য উটগুলিকে মারার জন্য প্রশিক্ষিত শিকারি ভাড়া করা হচ্ছে। এর জন্য তিন-চারদিন লেগে যেতে পারে। বন্যপ্রাণ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দাবানলের জেরে প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা পড়েছে। এই উটদের বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ না হলে ৯ বছর অন্তর এরা সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। উট গুলিকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মারা হবে। এই ঘটনা অত্যন্ত নৃশংস বলে নিন্দা করলেও এছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন।