ওয়েব ডেস্ক: “রাক্ষসেরা বন্ধু সেজে আসে।
পাহাড়চুড়ায়ে থমকে থাকে হাওয়া…
ঠোঁট খুলে যায়। বুকদুটো দু’পাশে
কামড়ে ধরে চুমু খাওয়ার আওয়াজ”…..
কবি শ্রীজাতের লেখা “যে ছেলেটি বন্ধু নয়” কবিতার লাইনগুলোয় যেনতেন প্রকারে এই সত্যটা বিশ্বাস করায়, যে তোমাকে রাত্রী-দিন দুঃখ দেয় সেই প্রেমিকের প্রেমের অনুঘটক হিসাবে কাজ করে চুম্বন। প্রতিনিয়ত প্রেমকে নতুন রূপ দেয় চুমু। সেই কবিতার ভাষায় বলতে হয় সুমন চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, “ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর/ প্রেমের পদ্যটাই /বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি /শুধু তোমাকেই চাই “। বছর ঘুরে আবার এসেছে ফাগুন প্রেমের বার্তা নিয়ে। শরীরের বয়স বাড়লেও বাড়ে না প্রেমের বয়স। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফর্মে ফিরে আসে প্রেম। চুমু নিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের মিথ প্রচলিত আছে, যার কিছুটা সত্য, বাকিটা ভিত্তিহীন। আর এই সত্য ও ভিত্তিহীনের মাঝে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র আগে তুলে ধরা হল কলকাতার বুকে এমন ১০টি জায়গার হদিশ, যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকা নিশ্চিন্তে চুমু খেতে পারবেন।
মোহর কুঞ্জ– রবীন্দ্র সদনের উল্টোদিকে ফলে, ফলে সুসজ্জিত পার্কটির নাম মোহর কুজ্ঞ বা সিটিজেন পার্ক। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সারাবছরই এই পার্কে বসন্ত বিরাজ করে। যুগলের আনাগোনা লেগে থাকে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে এখানেই গন্তব্য অনেকের।
সেন্ট্রাল পার্ক– প্রণয়ীযুগলের পক্ষে সল্টলেকেরই আর এক স্বর্গোদ্যান। এখানে ঘনিষ্ঠ হবার অবাধ লাইসেন্স রয়েছে সকলের। আর তার পরেও গোপনীয়তা রক্ষা করতে চাইলে, জানিয়ে রাখা যাক, এখানে গাছপালা ঝোপঝাড়েরও অভাব নেই ।
বাগবাজার ঘাট– চুমু খাওয়ার পক্ষে প্রিন্সেপ ঘাটের মতো অতটা অনুকূল না হলেও বাগবাজার ঘাটও মন্দ নয়। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের খুবই পছন্দের অঞ্চল এই ঘাট, আর ঘাট সংলগ্ন বটগাছটির তলদেশ।
প্রন্সেপ ঘাট– প্রাকৃতিক শোভা উপভোগের সঙ্গেই চুমু উপভোগের আদর্শ জায়গা। কেউ দেখলেও বিশেষ আপত্তি জানাবে না। প্রিন্সেপের নামাঙ্কিত সৌধের থামগুলির আড়ালে প্রয়োজনীয় গোপনীয়তাটুকুও পেয়ে যাবেন। চাইলে নৌকায় প্রমোদ ভ্রমণেও যেতে পারেন। নৌকা ঘাট ছাড়ার পরেই মাঝি আপনাদের অভিপ্রায় বুঝে ছইয়ের পর্দাটিও, দেখবেন, ঠিক ফেলে দিয়েছেন।
নলবন– চমৎকার প্রাকৃতিক শোভা। তার মধ্যেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য রয়েছে অবাধ স্বাধীনতা। সকাল থেকে সন্ধে খোলা থাকে এই পার্ক। যখন হোক চলে যান।
ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল– কলকাতার যুগলদের পছন্দের সনাতন জায়গা। প্রশস্ত উদ্যান রয়েছে। ঘাসের ওপর বসে পড়ুন, চলে আসুন একে অপরের কাছাকাছি। কেউ আপনাদের বিরক্ত করবে না।
রবীন্দ্র সরোবর লেক– দক্ষিণ কলকাতার প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে সঙ্গে যুগলদেরও প্রিয় স্থান এই জায়গা।
প্রেসিডেন্সির লাভার্স লেন– কলকাতার ছাত্র সমাজে অন্তরঙ্গতা উপভোগ করার আর একটি প্রিয় জায়গা। প্রেসিডেন্সি কলেজের ভিতরকার এই রাস্তা আজ প্রায় কিংবদন্তির স্তরে উন্নীত।
ঢাকুরিয়া লেক– রবীন্দ্র সরোবর লেকের ঠিক পিছন দিকটাই ঢাকুরিয়া লেক। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উজ্জাপন করতে যুগলরা মাঝে মাঝেই সকাল সন্ধ্যে এখানেই ঘুর ঘুর করেন। খোলা ছড়ানো জায়গায় অনেকক্ষণ ঘুরে বেড়ানো ও সময় কাটানোর জন্য আদর্শ।
রেড রোড– ময়দানের পাশ দিয়ে চলা রেড রোডের ওপর ভ্যালেন্টাইন্স ডে সন্ধ্যায় হাত ধরে ঘুরতেই পারেন। নিভৃতে চুম্বনে এখানে অবশ্য আপনাকে কেউ বিরক্ত করতে আসবে না।