ওয়েব ডেস্ক: মাত্র ৯.৫৫ মিনিটে ১০০ কিমি দৌড়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন কর্ণাটকের কাম্বালায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগী শ্রীনিবাস গৌড়া। ক্রীড়াজগতে এখন তাঁকে অনেকেই ‘ভারতের উসেইন বোল্ট’ বলে জানেন। কিন্তু সেই শ্রীনিবাস এখন বেঁকে বসেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, সাইতে ট্রায়ালে তিনি নাও নামতে পারেন। তাঁর ইচ্ছা কাম্বালার মতো ঐতিহ্যবাহী ইভেন্টে তিনি থাকতে চান। তামিলনাড়ুতে যেমন জাল্লিকাট্টুকে ঘিরে উন্মাদনা, তেমনি কর্নাটকে উন্মাদনা কাম্বালাকে ঘিরে। বহুদিন ধরে এই প্রথা চলে আসছিল। কাম্বালা হল মোষের দৌড়। নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই খেলা হয়ে থাকে। জোড়া মোষকে বেঁধে দেওয়া হয়।
এই জোড়া মোষ ছুটতে থাকে কাদার ভেতর দিয়ে। কিন্তু পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি আপত্তি জানাতে থাকে। আদালতের নির্দেশে গতবছর নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় কাম্বালা। তখনকার মতো করে প্রতিবাদ হয়েছিল। তবে তেমন কোন আকার নেয়নি সেই প্রতিবাদ। কাম্বালা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি একপ্রকার মেনেই নিয়েছিলেন কর্নাটকের কাম্বালা কমিটিগুলি।
কিন্তু তাঁদের উৎসাহিত করছে জাল্লিকাট্টুকে ঘিরে তামিলদের লড়াই। প্রশ্ন উঠেছে, জাল্লিকাট্টু যদি ফিরে আসে, তাহলে কাম্বালা নিষিদ্ধ থাকবে কেন? কীভাবে এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে কাম্বালা কমিটিগুলি।
চলতি মরসুমে কাম্বালা উৎসবে মোষের সঙ্গে শ্রীনিবাস গৌড়ার গতি দেখে রীতিমতো চমকে যান সকলে। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে জামাইকার তারকা দৌড়বিদ উসেইন বোল্টের সঙ্গে গৌড়ার গতির তুলনা শুরু হয়ে যায়। বোল্ট মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, গৌড়া ১০০ মিটার অতিক্রম করেছেন ৯.৫৫ সেকেন্ডে। অর্থাৎ বোল্টের থেকেও ০.০৩ সেকেন্ড সময় কম নিয়েছেন তিনি।
এরপরেই শ্রীনিবাস উঠে আসেন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। কর্ণাটকের ক্রীড়ামন্ত্রী রিজিজু গৌড়াকে ট্রায়ালের জন্য ব্যবস্থা করে দেন সাইতে। কিন্তু শ্রীনিবাস সাফ জানিয়েছেন কাম্বালা ছেড়ে তিনি এখনই কোথাও যাবেন না। শ্রীনিবাস বলছেন, ‘‘উসেইন বোল্টের সঙ্গে আমার তুলনা শুরু করে দিয়েছেন মানুষজন। ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমি তো কেবল জলকাদা মাখা মাঠে দৌড়ই। আমার সাফল্যের পিছনে দুটো পালিত মোষেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।’’ তবে মোষ দৌড়ে তিনি ‘ভারতের উসেইন বোল্ট’।