ওয়েব ডেস্ক: বেতার তরঙ্গ যা সুদূর প্রান্ত জুড়তে সাহায্য করে। প্রাথমিক পর্যায়ের গণমাধ্যমের মধ্যে মানুষের জীবনে রেডিওর ভূমিকা অপরিসীম। রেডিও আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাধিক বিজ্ঞানীর নাম। রেডিওর আবিষ্কর্তা হিসেবে ইতালীয় বিজ্ঞানী গুয়েলমো মার্কনির নামই সর্বাগ্রে নেওয়া হয়। কারণ, বিংশ শতকে তিনিই প্রথম দূরের সংযোগকে বেতার তরঙ্গে জুড়েছিলেন। রেডিওকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে ইউনেসকোর পক্ষ থেকে এই দিনটিকে বাছা হয়েছিল। স্পেনের রেডিও অ্যাকাডেমি ২০১০ সালে প্রথম ১৩ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব রেডিও দিবস হিসেবে উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছিল। তারপর ২০১১ সালে ইউনেস্কো ১৩ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব রেডিও দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু রেডিও আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বাঙালী বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর নাম।
সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে রেডিও এর জনক গুলিয়েলমো মার্কোনি। কিন্তু আসলে রেডিও আবিষ্কারের ইতিহাস আরো পুরোনো। তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের শুরু, তারপর রেডিওতরঙ্গ পৃথকীকরণ, এ সম্পর্কিত তত্ত্ব ধারণা প্রস্তত করা, এটি পরীক্ষার মাধ্যমে দেখানো, তারপর সেরকম যন্ত্র তৈরি করা এবং যন্ত্রের কার্যপদ্ধতি প্রস্তুত করা পর্যন্ত পুরোটা নিয়ে তার ইতিহাস শেষ। জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর ‘অদৃশ্য আলোক’ বইতে এই সম্পর্কে লিখেছেন।
জগদীশচন্দ্র বসু এক ধরনের ডিটেক্টর (Detector) যন্ত্র তৈরি করেছিলেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন, এতে সন্দেহ নেই। তাঁর মতো প্রজ্ঞাবান একজন বিজ্ঞানী কেনো তাঁর আবিষ্কৃত রেডিও তরঙ্গের ডিটেক্টর (Detector) পেটেন্ট করলেন না, সেটি একটি রহস্য। ধারণা করা হয়, তাঁর গবেষণা-পদ্ধতি ও ফলাফল তিনি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় দেয়া বক্তৃতায় সবার কাছে উন্মুক্ত করে দেন।