ওয়েব ডেস্ক: নীলচে রঙের সমুদ্রে এ কোন ভোল বদল! বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দীঘা সমুদ্রের ধারে ভীড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা, সমুদ্র স্নানের জন্য নয়, বরং সমুদ্রের জলের রঙ হঠাৎ করে বদলে যাওয়ার ছবি দেখবার জন্য। হঠাৎ-ই সমুদ্রের রঙ বদলে ঘোলাটে কাদার রঙ হয়ে যায় গোটা সমুদ্রের। আতঙ্ক, উদ্বেগ আর কৌতুহল সব মিলিয়ে দীঘার সমুদ্রে এখন পর্যটকদের স্নানে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যে এই ঘটনা ভূ-বিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
সমুদ্রের জল পরীক্ষা করে দেখবার জন্য পৌছে গেছে একটি বিশেষজ্ঞ টিমও। তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট। আজ ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ-ই বদলাতে শুরু করে সমুদ্রের রং। কাদা মাখা ঘোলা সমুদ্রের জল আসতে শুরু করে।
আরও পড়ুন : ফুঁসছে তিস্তা, উত্তরবঙ্গে জারি রেড অ্যালার্ট
ফলে সমুদ্রে স্নান করতে আসা পর্যটকরা রীতিমতো বিরম্বনায় পড়েন। পর্যটকরা জানা, সমুদ্রের জলে স্নান করতে নেমে হঠাৎ-ই গায়ে কাদা মাখামাখি হয়ে যায়। এমনকি সেই কাদা ধুইয়ে ফেলাও সম্ভব হয়নি।
সমুদ্রের ধারে এক ডাব বিক্রেতার কথায়, এত বছরে তিনি আগে কখনও সমুদ্রের এমন অবস্থা দেখেননি। জলের ঢেউ যেন কাদার ঢেউ হয়ে আসছে। আর যারাই স্নান করতে নামছেন তারা জলের বদলে কাদায় স্নান করে আসছেন।
আরও পড়ুন: “দুষ্টু ছেলে”র দুষ্টুমিতেই বৃষ্টির ঘাটতি দক্ষিণবঙ্গে
এদিকে হাওয়া অফিসের তরফে সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। ভূ-বিদদের কথায়, সমুদ্রে সেরিমেন্ট লোড বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে এই নিয়ে তেমন কিছু চিন্তার বিষয় দেখছেন না তারা।
সমুদ্রে বালি কাদার পরিমাণ বাড়লে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বলে তার মত। এই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বলে তাদের মত। অনেকে আবার সুবর্ণরেখায় বাঁধ দেওয়াকেও এর জন্য দায়ী করছেন।
বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সমুদ্রে সেরিমেন্ট লোড বাড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টি পর্যাপ্ত পরিমানে হলে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে সমুদ্র এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে পর্যটকদের এখন সমুদ্রে স্নান নৈব নৈব চঃ। পুরনো জৌলুসে কবে ফিরবে সমুদ্র সেদিকেই তাকিয়ে দীঘার পর্যটকরা।