ওয়েব ডেস্ক:- শয়ে শয়ে মোমবাতি জ্বলছে , প্রতিবাদ হচ্ছে তবুও থামছে না নির্যাতন। হায়দরাবাদে ও রাজস্থানে নারকীয় গণধর্ষণের ঘটনার পর এবার অভিযোগ এলো ওড়িশার পুরী থেকে। দেশ জুড়ে যখন নারী নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিতে উদ্যোগী প্রশাসন ওড়িশার পুরীর গণধর্ষণের ঘটনায় তখন রক্ষকই হয়ে উঠল ভক্ষক। এক তরুণীকে গভর্মেন্ট কোয়াটারে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করল প্রাক্তন পুলিশ কন্সটেবল সহ চারজন। ইতিমধ্যে প্রাক্তন পুলিশ কন্সটেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বাস ধরার জন্য পুরীর নিমপাড়া বাসস্টপে দাঁড়িয়ে ছিল ওই তরুণী।
সেই সময় ওই তরুণীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪ জন ব্যক্তি তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়ি করে তাঁকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার বদলে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাদেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে একটি সরকারি আবাসনে। এরপর একটি ঘরে বন্ধ করে প্রায় ২ আড়াই ঘন্টা নির্যাতন চালায় ২জন।
সেই সময় এক ধর্ষণকারীর মানিব্যাগ নিয়ে নেন ওই তরুণী। পরে সেই মানিব্যাগ থেকেই একটি আইডি কার্ড পাওয়া যায়। ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মীর নাম জিতেন্দ্র শেঠি। সোমবার বিকেলেই নির্যাতিতা তরুণী আইডি কার্ডটি থানায় জমা দেন। আইডি কার্ড দেখে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ওড়িশার পুরীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাকি ৪ অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। নির্যাতিতা তরুণীর মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের প্রমান মিলেছে।