এক্সপ্রেশন হীন নায়ক নায়িকা এবং একঘেয়ে রোমান্স! বাঁচালো সোনু নিগমের গলা? কেমন হলো পরম সুন্দরীর টিজার?

চক্রযুদ্ধ ঘোষ, সাংবাদিক- টিজার টি শুরু হয়ে একটি জিমে। সিদ্ধার্থের চরিত্রটি জিমে যথাযত খাটনি করে যাচ্ছেন। তারপর তাকে আমরা দেখি তার অফিসে ঢুকতে। এইটা হলো টিজার টির ইউ এস পি। এখন অব্দি বোঝা যাচ্ছে এই ছেলেটি বেশ দায়িত্ববান একটি ক্যারেক্টার হতে চলেছে। তবে দর্শকের মনে একটাই প্রশ্ন। সেটি হলো যে এই চরিত্র গম্ভীর হওয়ার সময়, দৌড়ে পালানোর সময়, রোমান্স করার সময়, হাঁটার সময়, অফিসে কাজের সময়, সব জায়গায় একই মুখের এক্সপ্রেসন কেন দিচ্ছে? সিদ্ধার্থ মালহোত্রার হাঁটা চলার শটস গুলি, তার আগে মুক্তি পাওয়া বাদবাকি দশটা ছবির সাথে এদিক ওদিক করে দিলে এটা ধরা খুবই মুশকিল যে কোনটি দশ বছর আগেকার সিদ্ধার্থ আর কোনটি দশ বছর পরের। তার বক্স অফিসে কামব্যাক করার জন্যে কী এটাই যথেষ্ট?

ওদিকে আমরা জাহ্নবী কাপুর কে দেখতে পাই একটি হাত পাখা হাতে নিয়ে নিজের মুখটি ক্যামেরার দিকে তুলে ধরছেন। তার ও প্রায় একই অবস্থা। সে এই ফিল্মের মুখ্য চরিত্র, কিন্তু পুরো টিজার জুড়ে লজ্জা পাওয়ার শটস্ ছাড়া আমরা আর কিছুই দেখতে পাই না। তার ভক্ত রা বেশ আশাহত হবে এই টিজার টি দেখে। তাকে আমরা সিদ্ধার্থের সাথে বাইকের পেছনে, শাড়ী পরে জঙ্গলে, পুকুরের পাশে, সব জায়গায় লজ্জা পেতে দেখি, এ ছাড়া বেশি কিছু না আমরা দেখি, আর না আমরা বুঝতে পারি। তার গম্ভীর মুখে দুটো ফ্রেম রাখা হয়েছে, যেটি বিশেষ কিছু বলে না দর্শকদের।

একটাই ভালো জিনিস এই টিজার টির আর সেটি হলো এর মধ্যে সোনু নিগমের একটি গান। এটা প্রথম বার হবে যে টিজারে সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফির থেকে বেশি, নায়ক নায়িকার থেকে বেশি, তাদের অভিনয়ের থেকে বেশি, ফিল্মের একটি গানের গায়ক নাম কামাবেন। এরকম মনে হলে ক্ষতি নেই, যে এই ফিল্মটির মেকর্স এই টিজার টির মধ্যে সেভাবে কোনো আসার আলো না দেখতে পেয়ে এই গান টি জোর করে রেখে দিয়েছেন। কারণ টিজার টির যেই ভিজ্যুয়ালস, তার সাথে গান টি একদমই যাচ্ছে না। গান টি এক অনুভূতি দিচ্ছে, আর টিজার টি আরেক অন্য গল্প বলছে।

পরম সুন্দরী কী পারবে ম্যাডকের আবার ভাগ্য ফেরাতে? তাদের একসাথে অনেক গুলো ফিল্ম হিট হওয়ার পর ‘ভুল চুক মাফ’ ফিল্মটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পরে। টিজার লেভেলে এই ফিল্ম আর ১০টা বলিউড ফিল্মের মতনই লাগছে। কিছু মিল ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খানে ও দীপিকা পাডুকোন অভিনীতি, রোহিত শেটটি পরিচালিত ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর সাথেও প্রচুর মিল আছে। দেখা যাক এই সিনেমাটির বক্স অফিসে কী পরিণতি হয়ে। সিদ্ধার্থ মালহোত্রা কামব্যাক করতে পারে কিনা।