উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ভারতের বায়ু সেনা। ইতিমধ্যেই ৩৩ জনকে বায়ু সেনার হেলিকপটারে করে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন মার্কিন পর্যটক রয়েছেন।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- প্রাক বর্ষার অতি বৃষ্টিতে ভয়াবহ চিত্র উত্তর সিকিমে। ধস নেমে বিপর্যস্ত সিকিমের পরিস্থিতি। উদ্ধারকাজ হাত লাগিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে ভারতীয় সেনা। সঙ্গে রয়েছে এনডিআরএফ। সেখানে আটকে রয়েছে প্রচুর পর্যটক।
আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সে রাজ্যে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। ফলে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই সকলে যৌথভাবে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। তবে প্রবল ধসে লাচেন, সিকিমের অন্য অংশের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন ক্ষেত্র। ওই এলাকায় এখনও আটকে রয়েছেন ১১৩ জন। তাঁদের কাছে পৌছনোর সব রাস্তা বর্তমানে বন্ধ। বিকল্প রাস্তায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে পর্যটকদের।
উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ভারতের বায়ু সেনা। ইতিমধ্যেই ৩৩ জনকে বায়ু সেনার হেলিকপটারে করে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন মার্কিন পর্যটক রয়েছেন। একনজরে দেখা যাক কোন রুটের কী পরিস্থিতি।
১) মঙ্গন থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তা যা রাকডুং হয়ে তিনটেক পর্যন্ত গিয়েছে, তা আপাতত পরিস্কার।
২) পেডং রোড দিয়ে মঙ্গন থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তাও পরিস্কার। তবে বুধবারও এই রুটে বড় গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা।
৩) বুধবারও বন্ধ রয়েছে মঙ্গন থেকে টুং নাগা হয়ে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা।
৪) মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত পেডং দিয়ে যে রাস্তা গিয়েছে, সেটির উপর ফি এবং ডেট ব্রিজে শুধুমাত্র ছোট গাড়ি যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।
৫) সঙ্কলং দিয়ে মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ।
৬) চুবোম্বু থেকে চুংথাং হয়ে লাচেন পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ।
৭) জিমা হয়ে লাচেন থেকে থাংগু পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ।
৮) চুংথাং থেকে লাচুন পর্যন্ত পরিস্কার।
৯) লাচুন থেকে ইয়ুমথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ।
১০) মঙ্গন থেকে ডিকচু পর্যন্ত রাস্তা পরিস্কার।
বর্তমানে সিকিমের আবহাওয়ার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে কিছুটা গতি এসেছে। চাতেনে একটি আর্মি ক্যাম্পে ধস নমার পর ৩ জওয়ানের মৃত্যু হয়। ওই ক্যাম্পের ৬ জওয়ান এখনও নিখোঁজ। দিন রাত এক করে তাঁদের খোঁজ চলছে। নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রীতপাল সান্ধু, তাঁর স্ত্রী স্কোয়াড্রন লিডার আরতি সান্ধু এবং তাঁর মেয়ে আমাইরা সান্ধু।