পুতিনের প্রতিশোধ, ইউক্রেনে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা রাশিয়ার

রবিবার নিখুঁত পরিকল্পনায় রাশিয়ার ওপর ড্রোন হামলা করেছিল ইউক্রেন। এবার তারই বদলা নিল পুতিনের দেশ। এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় হামলা চলল ইউক্রেনের ওপর। জেলেনস্কির দেশে চলল রুশ ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: নিজের দেশে হামলার এক সপ্তাহও কাটল না তার মধ্যেই মারাত্মক প্রতিশোধ নিলেন পুতিন। এবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেকে প্রায় পুড়িয়ে খাক করে দিল ক্রেমলিনের কয়েকশো ড্রোন৷ হামলা চালানো হল ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়েও৷

ইউক্রেনের হামলার পরেই পুতিন জানিয়ে দিয়েছিলেন রাশিয়া এর প্রতিশোধ নেবেই। ড্রোন হামলার জবাব তারা কিভাবে দেবে, মাত্র কয়েকদিনেই সেই পরিকল্পনা করে ফেলে রাশিয়া। এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের সময়ও এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন রুশ সর্বাধিনায়ক ভ্লাদিমির পুতিন। সেই মতো কিয়েভের স্পাইডারওয়েব হামলার জবাবে ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালাল রাশিয়া। ইউক্রেন জুড়ে ৪০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ৪০ টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। যারা জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই রাশিয়ান অ্যাটাককে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে সবথেকে হামলা বলে চিহ্নিত করেছেন। শুক্রবার রাত থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসতে থাকে রাশিয়ার ড্রোন। একেবারে আচমকাই আঘাত হানে বিভিন্ন রকমের মিসাইল। এই হামলার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে ইউক্রেনের স্টেট এমার্জেন্সি সার্ভিস। এই হামলায় কিভে তিন জন দমকলকর্মী, চেরনিহিভে এক ব্যক্তি এবং লুৎস্কে দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক বহুতলেও আঘাত এনেছে রাশিয়ার পাঠানো হামলাকারী ড্রোন।

গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷ জ্বলন্ত কিয়েভের একাধিক ছবি শেয়ার করে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আজকের হামলায় ৪০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া৷ এমনকি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ানরা তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত বিশ্বের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে চলেছে। আমাদের এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে দেখতে হবে। কূটনীতিক ভাবে কাজ করতে হবে, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন প্রাথমিক পদক্ষেপ, বিশেষ করে যুদ্ধবিরতি। রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’