ওয়েব ডেস্ক: পেরিয়ে গেছে ৭২টি বছর।৭৩ বছরে পদার্পন করা স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। সেই উপলক্ষ্যে দিল্লির লালকেল্লায় আয়োজন করা হয়েছিল বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ দেখার জন্য লালকেল্লায় হাজির হন অসংখ্য মানুষ মানুষ। সত্যিই এই অনুষ্ঠান দেখবার মতো, আবার অনেক কিছু শেখার আছে এখান থেকে।
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলনের পর উড়ন্ত পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক তিন রকমে স্যালুট করেন। কেন জানেন? আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তিনটি বিভাগের মধ্যে তিন রকমের স্যালুট করার প্রচলন আছে। এবার হয়তো অনেকেই ভাববেন একই দেশের সেনাবাহিনী কেন তিন রকম স্যালুট করে। এর পিছনেও আছে কারণ।
সেনা জওয়ান:- আমরা সেনা জওয়ানদের স্যালুট করার অনেক ছবি, ভিডিও দেখেছি। কিন্তু কখনওই সেভাবে লক্ষ্য করি না তারা কিভাবে স্যালুট করে। ভারতীয় সেনার জওয়ানরা স্যালুট করার সময় তাঁদের হাতের পাঞ্জা খোলা থাকে। প্রতিটি আঙুল জোড়া থাকে। এই স্যালুটের মাধ্যমে সেনা জওয়ানরা যেমন সম্মান প্রদর্শন করেন তেমনই এই স্যালুটের অর্থ হল তাঁদের হাতে সেই মুহুর্তে কোন অস্ত্র নেই।
নৌ সেনাবাহিনী:- নৌ সেনারা স্যালুট করার সময় হাত ও ভূমির মধ্যে ঠিক ৯০ ডিগ্রির কোণ তৈরি করেন। এর কারণ হল, জাহাজে কাজ করার জন্য তাদের হাতে অধিকাংশ সময় ময়লা লেগে থাকে। তাই সম্মান জানানোর সময় সম্পূর্ণ হাত কখনও দেখান না তাঁরা। হাতের তালুকে লুকিয়ে রেখে স্যালুট করেন তারা।
বায়ুসেনা বাহিনী:- এবার আসা যাক বায়ুসেনাদের স্যালুট করার ধরনে। আগে বায়ুসেনার স্যালুটের ধরন অনেকটাই সেনা জওয়ানদের মতোই ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে নিজেদের স্যালুটের ধরনে সতন্ত্রতা আনার জন্য এই ধরন কিছুটা বদলানো হয়। এখন বায়ু সেনা সম্মান প্রদর্শন করে কাউকে স্যালুট করলে তাঁদের হাত সবসময় ভূমি থেকে ৪৫ টিগ্রি কোণে থাকে।
স্বাধীনতা দিবস হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস, সেনাবাহনীর কুচকাওয়াজে বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয় বেশ মনে রাখার মতো।