মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে রীতিমত রাশিয়ার স্বঘোষিত রক্ষাকর্তা বলে মনে করছেন। ফের আর একবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কটাক্ষ করে তাঁর দাবি আগুন নিয়ে খেলছেন পুতিন।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিকঃ মুখে যুদ্ধবিরতির কথা বলার পরেও কাজে তা করছে না রাশিয়া। রাশিয়া এখনও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে, এই আবহেই ইউক্রেনের দাবি, রুশ সৈন্য তাদের দেশের কয়েকটি অঞ্চলের দখল নিয়েছে এই কথা শোনার পরেই ট্রাম্পের দাবি, আগুন নিয়ে খেলা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।তাঁর হুঙ্কার এর ফল যে ভালো হবে না।
ইউক্রেনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় যুদ্ধের ময়দানে অগ্রগতি লাভ করা রাশিয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এগিয়ে আসছে না। বরং তারা সামরিক অভিযান জারি রাখতেই চাইছে। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনে অন্যতম প্রাণঘাতী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব নিয়ে ক্রমবর্ধমান হতাশার মধ্যে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “ভ্লাদিমির পুতিন যা উপলব্ধি করতে পারছেন না তা হল আমি যদি না থাকতাম, রাশিয়ায় ইতিমধ্যে অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে যেতো, আর আমি বলতে চাইছি সত্যিই খারাপ। তিনি আগুন নিয়ে খেলছেন। অর্থাৎ তিনি যেন একপ্রকার প্রমাণ করেই দিলেন তিনি না থাকলে ধ্বংস হয়ে যেত রাশিয়া। ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতিতে সচেষ্ট হয়েছেন এর পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতেও উদ্যোগী হয়েছেন। কখনও ট্রাম্পকে দেখা গেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে, আবার কখনও পুতিনের সঙ্গে। শুধু মুখোমুখি সাক্ষাৎ নয়, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ফোনেও বার বার আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। তিনি প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, ‘‘আমি যুদ্ধ পছন্দ করি না।’’ যদিও এখনও পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনে হামলার ধার বাড়াচ্ছে রুশ সেনা।
যদিও রাশিয়া এই মুহূর্তে ট্রাম্প কি বললেন তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না বরং এই মুহূর্তে ইউক্রেন দখল তাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। মস্কো দাবি করেছে, ইউক্রেনের অন্তত ১৪৭৫ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘন্টার সামরিক অভিযানে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ডনেৎস্ক এলাকার স্টারায়া নিকোলায়েভকা জনবসতি মুক্ত করেছে তাদের সেনা। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের খারকিভেও সাফল্য পেয়েছে তারা। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে।