বাঁকো পাথর খনির কাজের জন্যই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই মাঝ পথে ওই ট্রাকটিকে দাঁড় করায় ৮ জন বন্দুকধারী মাওবাদী। ১৫০ প্যাকেট জিলেটিন স্টিক ছিল ট্রাকে। চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সারান্দার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় তারা।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- একদিকে যেখানে মাওবাদী দমন অভিযান চালানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে, এরই মধ্যে দেখা গেল ওড়িশায় আর এক চিত্র। ওড়িশায় ট্রাক চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিস্ফোরক ভর্তি ট্রাক লুট মাওবাদীদের বলে পুলিশের অনুমান। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার রৌরকেল্লায়। একটি পাথর খাদানে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের জন্য ট্রাক ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নির্জন এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ট্রাক থামায় মাওবাদীরা বলে জানা গেছে। ট্রাকে ভর্তি বিস্ফোরক ছিল। তা লুট করা হয়।
ইতিমধ্যেই ওড়িশা সরকারের তরফ থেকে ঝাড়খণ্ড সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে এই বিষয়। সুন্দরগড় জেলার রৌরকেল্লার থেকে ৯০ কিলোমিটার ভিতরে কেবলং থানা এলাকা দিয়ে বাঁকো পাথর খনির দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। এলাকাটি জঙ্গল ঘেরা। সারান্দা জঙ্গল রয়েছে ওই এলাকায়, যা ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার সীমানা। বাঁকো পাথর খনির কাজের জন্যই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই মাঝ পথে ওই ট্রাকটিকে দাঁড় করায় ৮ জন বন্দুকধারী মাওবাদী। ১৫০ প্যাকেট জিলেটিন স্টিক ছিল ট্রাকে। চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সারান্দার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় তারা। জঙ্গল দিয়ে সহজেই ঝাড়খণ্ড পালিয়ে যাওয়া সম্ভব। জঙ্গলে আগে থেকেই ১০-১৫ জন মাওবাদী ছিল। যারা বিস্ফোরক নিয়ে পালায়। ঘটনার পর থেকেই ট্রাকটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি খোঁজ পাওয়া যায়নি ট্রাকের চালক এবং খালাসির। মাওবাদী দমন অভিযানের মধ্যে এই লুটপাটের ঘটনা পুলিশকে তাদের অস্তিত্ব প্রমাণ দেওয়ার জন্যই বলে মনে করছে পুলিশ।
চলতি বছরের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে মাওবাদীমুক্ত করা হবে। পরিকল্পনা মতো মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় চলছে মাওবাদী দমন অভিযান। সিআরপিএফের কোবরা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ চালাচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে বহু মাওবাদীকে নিকেশ করেছে যৌথবাহিনী। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার আত্মসমর্পণও করেছেন বেশ কয়েকজন মাওবাদী।