সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক-উত্তর সিকিমে ভয়াবহ দূর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে সোজা হাজার ফুট নীচে তিস্তায় পড়ল পর্যটকদের একটি গাড়ি। রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে বার বার উদ্ধারকাজ ব্যাহত। এখনও অনেকের খোঁজ মেলেনি। উদ্ধার করা গিয়েছে শুধু দু’জনকে। তাঁদের গ্যাংটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিন রাজ্যের বাসিন্দা
জানা গেছে যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। উত্তর সিকিমের চুংথাং-মুন্সিথাংয়ের রাস্তা এখনও তার সাক্ষী। গত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড়ে। তার মধ্যেই যাচ্ছিল গাড়ি। আচমকাই গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে ১০০০ ফুট গভীরে তিস্তা নদীতে পড়ে যায়।
গাড়িটিতে বাংলা–ওড়িশার পর্যটক মিলিয়ে মোট ১১ জন ছিল। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজে নামে সেনা ও আইটিবিপির জওয়ানরা। রাতেই ২ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য গ্যাংটকে পাঠানো হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন পর্যটক। সামনে এসেছে মৃত্যুর খবরও।
ইতিমধ্যে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের গ্যাংটকের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানা যাচ্ছে হাসপাতাল সূত্রে। মঙ্গনের পুলিশ সুপার সোনম ডিচু জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা, সিকিম পুলিশ, ইন্দোতিব্বত সীমান্ত পুলিশ উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। সারা রাত ধরে তল্লাশি চলেছে। তবে আবহাওয়া অনুকূল নয়। বার বার বাধা পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।