গাজার ওপর লাগাতার ইজরায়েলের আঘাত অব্যাহত। দিন কয়েক আগেও ইজরায়েল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল হামাস নিধন শেষ না হওয়া অবধি জারি থাকবে যুদ্ধ। তবে এবার শোনা যাচ্ছে যুদ্ধবিরতির বৈঠকে রাজি ইজরায়েল। তবে কি এবার গাজা ইজরায়লের যুদ্ধের সমাপ্তি হতে চলেছে?
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: যুদ্ধবিরতি বৈঠকে ৭২ ঘন্টা আগেই হামাসের সম্মতি মিলেছিল এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া রফাসূত্র মেনে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে সম্মত হলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, ‘বিশেষ দূত উইটকফ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসের কাছে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, যেটিতে ইজরায়েল সমর্থন দিয়েছে।
১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হলেও পণবন্দি মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সেনা। তার পর থেকে প্রায় প্রতি দিনই গাজায় ইজরায়েলি হামলা চলছে। এমনকি, গাজা ভূখণ্ড পুরোপুরি দখলের কথাও ঘোষণা করেছেন নেতানিয়াহু। তবে প্রায় তিন মাস পরে চলতি সপ্তাহে অবরুদ্ধ গাজায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
শান্তি ফেরানোর চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও গাজায় মানবিক ত্রাণের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।এই চুক্তির শর্তগুলো ইজরায়েলকে মাথায় রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এতে পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ, গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এই বিষয়গুলোকেও দেখা হচ্ছে। এর আগেও হামাস ও ইজরায়েলের পরস্পর বিরোধীতার কারণে একাধিকবার গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা ভেস্তে গেছে।