সব রাজ্যেয় সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা কম। তবে ক্রমশ সরকারি স্কুলের তিলনায় বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় এক রিপোর্টে উঠে এল সেই তথ্য। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মত শিক্ষকমহলের একাংশের।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক-কেন্দ্রীয় রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা রীতি মতো ভাবিয়ে তুলেছে শিক্ষকমহলকে। কেন্দ্রীয় এক রিপোর্ট অনুযায়ী সরকারি স্কুলে ক্রমশ কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে পড়ুয়া সংখ্যা বাড়ছে বেসরকারি স্কুলগুলিতে। রিপোর্টে তিনটি রাজ্যের কথা মূলত উল্লেখ রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ড। এই তিনটি রাজ্যে সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
কেন্দ্রের হিসাব বলছে অন্ধ্রপ্রদেশে মোট সরকারি স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার অর্থাৎ ৭৩ শতাংশ। সেখানে বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৬২টি। সেখানে সমীক্ষা করে দেখা গেছে সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া। অথচ বেসরকারি স্কুলে পড়ে ৫২ শতাংশ পড়ুয়া। অন্যদিকে তেলেঙ্গানায় মোট স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৪৩ হাজার। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ সরকারি। অথচ মোট বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৬২ শতাংশ। উত্তরাখণ্ডেও ছবিটা প্রায় একই রকম।
এই তিন রাজ্যে সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সরকার। তাই প্রায় সব রাজ্যকেই কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়েছে। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই সরকারি স্কুলের পরিবর্তে বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। মিড ডে মিল নিয়ে পর্যালোচনা রিপোর্টেও এই শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি সামনে এসেছে। শিক্ষকমহলের একাংশের বক্তব্য, সরকারি স্কুলে শিক্ষকের অভাব, পরিকাঠামোর অভাব, যদিও পরিকাঠামো থাকছে তা ঠিকমত ব্যবহৃত হচ্ছে না। এসবের কারণেই কিছুটা বাধ্য হয়েই বহু বাবা-মা সন্তানদের পড়াতে বেসরকারি স্কুলগুলিকে বেছে নিচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে গেলে আগে পরিকাঠামোসহ পড়ুয়াদের সব বিষয়গুলি সঠিকভাবে দেখতে হবে।