ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে প্রকাশ্যেই পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছিল তুরস্ক। আর এই পাক-প্রীতিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি ভারত। এবার তুর্কী যোগ ত্যাগের পথে ইন্ডিগো বিমান সংস্থা। ইন্ডিগো তুরস্কের বিমান সংস্থা থেকে দু’টি বোয়িং ৭৭৭ লিজ নিয়ে এত দিন চালাচ্ছিল ইন্ডিগো। ৩১ মে পর্যন্ত ওই দুই বিমান পরিচালনার অনুমতি ছিল। কেন্দ্রের নির্দেশে এবার সেই চুক্তি আগামীতে বাতিল করতে চলেছে ইন্ডিগো।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: পাক-প্রীতির কারণেই তুর্কী ত্যাগ ইন্ডিগোর। ৩১ মে তারিখে শেষ হয়ে যাওয়া চুক্তিকে আরও ৬মাস বৃদ্ধি করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিল ইন্ডিগো। কিন্তু সেই অনুমোদনে রাজি না হয়ে কেন্দ্র নির্দেশ দিল, অবিলম্বে তুরস্কের যে সঙ্গে যে চুক্তি ছিল তা বাতিল করতে হবে। এই লিজ নেওয়া বিমান দুটি নয়াদিল্লি–ইস্তানবুল এবং মুম্বই–ইস্তানবুল রুটে চালানো হত।
চুক্তি অনুযায়ী, ওই দু’টি বিমানের পাইলট ও কিছু ক্রু সদস্যও টার্কিশ এয়ারলাইন্সের। প্রতি ছ’মাস অন্তর ওই চুক্তি নবীকরণ করা হয়। ৩১ মে ওই চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে এর পরে আরও ছ’মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল ইন্ডিগো। কিন্তু তা আর বৃদ্ধি হবে না৷ শুধু যাত্রীদের কথা মাথায় ৩ মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
একটি বিবৃতি দিয়ে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে আরও তিন মাসের জন্য ওই রুটে বিমান চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই বর্ধিতকরণ ‘এককালীন, শেষ এবং চূড়ান্ত’ বলে জানানো হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, ইন্ডিগোর প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে তিন মাসের জন্য লিজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর পরে এই মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।
উল্লেখ্য, ভারত-পাক দ্বন্দ্বের আবহে এর আগে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই তুরস্কের সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস ইন্ডিয়ার সিকিওরিটি ক্লিয়ারেন্স অবিলম্বে তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়। মুম্বই, নয়াদিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, আমেদাবাদ-সহ দেশের ৯টি বিমানবন্দরে একাধিক উড়ান সংস্থার হয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের একাধিক কাজ করার ভার ছিল সেলেবির উপর। এর পরেই এই লিজের বিমান নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।