পুতুলকে জামা পড়াতে চাওয়াই কাল হলো সাত বছরের ছোট্ট শিশু কন্যার। জামার জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় পাড়ার দর্জির কাছে আনতে গেলে সেই দার্জির ললাসার স্বীকার হতে হলো ওই ছোট্ট শিশু কন্যাকে। ঘটনা বাঁকুড়ার।
মিলন কর্মকার, বাঁকুড়া- পুতুল খেলার পুতুলের জন্য জামা তৈরি করতে হবে, তাই পাড়ার দর্জির দোকানে ছুটে গিয়েছিলো বছর সাতেকের এক নাবালিকা। যদি দর্জি কাকুর কাছ থেকে টুকরো টাকরা কিছু কাপড় জুটে যায়। কিন্তু পুতুলের কাপড় জোটার বদলে নাবালিকার কপালে জুটলো ধর্ষণ। নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার ছাতনায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রবিবার ছুটির দিন থাকায় দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর নিজেদের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন ওই শিশুকন্যার পরিবারের লোকজন। এদিকে নিজের পুতুলের জন্য জামা তৈরি করতে হবে বলে বাড়ির পাশের দর্জি কাকুর দোকানে যায় মেয়েটি। সেই সময় আরো কাপড়ের লোভ দেখিয়ে ছোট্ট মেয়েটিকে দোকানের মধ্যে ডেকে নিয়ে যায় ওই দর্জি দোকানের মালিক বছর ৫৭-র শেখ আহিয়া। এরপর দোকানের শার্টার নামিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ছাতনা থানায় অভিযোগ জানানো হলে রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যয় সংহিতার ৬৫(২) ও পকসো আইনের ৪/৬ ধারায় মামলা রুজু করে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। ধৃতের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার সহ এলাকাবাসী।