সোমবার থেকে শুরু হয়ে গেল পুরোদমে স্কুল। তাই এবার স্কুলে গিয়ে ক্লাস করাতে হবে আন্দোলনকারী চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এদিকে মাথায় একরাশ চিন্তা নিয়েই স্কুলে যোগ দিয়েছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হয়ে সোমবার থেকে শুরু হয়ে গেল পুরোদমে স্কুল। তাই এবার স্কুলে গিয়ে ক্লাস করাতে হবে আন্দোলনকারী চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের। প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বহাল রয়েছে, অর্থাৎ তাঁদের স্কুলে যেতে হবে, ক্লাসও নিতে হবে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। আদালতের নির্দেশ মেনে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে। চাকরির ভবিষ্যত কি হবে? মাথায় সেই চিন্তা নিয়েই সোমবার থেকে স্কুলে আসতে শুরু করলেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক কাঞ্চন পালের বক্তব্য, ” চিন্তা মাথায় নিয়েই স্কুলে আসতে হচ্ছে। পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কম সময়ে বিশাল সিলেবাস কিভাবে শেষ হবে জানা নেই।”
পরীক্ষার যেহেতু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাই যদি পরীক্ষায় বসতে হয় চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের তারজন্য তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্কুলগুলি। দমদম শ্রী অরবিন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক অসীমকুমার নন্দ-র বক্তব্য, পরীক্ষায় বসার সুবিধার্থে তাঁর স্কুলের তিন জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাকেই এসএসসি সিলেবাসের সঙ্গে সংযুক্ত বিষয়গুলিই বিশেষভাবে ক্লাসে পড়ানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে।
তবে পরীক্ষায় বসতে নারাজ চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটা বৃহৎ অংশ। একই চাকরির জন্য তাঁরা একাধিকবার পরীক্ষা দিতে নারাজ। স্বসম্মানে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চলবে বলেই জানান তাঁরা। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক বৃন্দাবন ঘোষের বক্তব্য, “সোমবার যেহেতু স্কুল খুলেছে তাই প্রত্যেকেই গেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ধর্ণা মঞ্চে রোটেশন করে ২০০ জন করে বসা হবে। একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়েই ধর্ণা মঞ্চটিকে চালিয়ে নিয়ে যাব। পাশাপাশি স্কুলের দায়িত্বও পালন করব। একদিকে শিক্ষাকতার দায়িত্ব এবং অন্যদিকে আমাদের প্রতি যে অবিচার সেই অবিচারের বিরুদ্ধে এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের যে আন্দোলন, তা চলবে। আমরা কোনও দূর্ণীতির সঙ্গে যুক্ত নই অর্থাৎ পরীক্ষায় আমরা বসব না।”