গোটা দেশে করোনা যখন বাড়ছে তখন কলকাতা সহ রাজ্যের এই প্রথম মৃত্যুর খবর নি:সন্দেহে উদ্বেগজনক। একদিকে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ এবং সেই আবহেই কলকাতায় করোনা আক্রান্তের মৃত্যু- সাধারণ মানুষের মনে আশঙ্কা দানা বাঁধছে, আবারও কি লকডাউন?
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক- আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে একাধিক সমস্যা নিয়ে ওই মহিলাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল এর পাশাপাশি ছিল একিউট কিডনি ইনজুরিও। গত এক সপ্তাহ ধরেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন তিনি। বিভিন্ন টেস্ট করা হয় তাঁর, যার মধ্যে কোভিড টেস্টও ছিল, তখনই জানা যায় তিনি কোভিড পজিটিভ। এর পাশাপাশি সেপসিসেও আক্রান্ত হন তিনি অর্থাৎ গোটা শরীরের রক্ত দূষিত হয়ে যায় এবং সেখান থেকে সেপটিক শকে চলে যান, অবশেষে তার মৃত্যু হয়।
কোভিড ধরা পড়ার পর তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। চিকিৎসায় সেইভাবে সাড়া দিচ্ছিলেন ন্ এর পাশাপাশি সেপসিসের জেরে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের মত পরিস্থিতিও তৈরি হয়। সব মিলিয়ে এত গুলো সমস্যা আর সামাল দেওয়া যায়নি। শেষমেষ সেপটিক শক থেকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, অন্যদিকে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে আরও বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় শুধু রাজ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন যার জেরে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৩৭২। শুধু মাত্র গত চারদিনে ২৫৬ জন আক্রান্ত রাজ্যে৷ ২৬ শে মে আক্রান্ত ছিল ১২ জন অর্থাৎ গত এক সপ্তাহেই ৩৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন বাড়িতে কোমর্বিড ব্যক্তি থাকলে তার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন। বাইরে থেকে এসে হাত পা না ধুয়ে কোনভাবেই তার কাছে যাওয়া উচিত নয়। স্যানিটাইজড হয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি জ্বর যদি তিনদিনের বেশি থাকে তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে স্বাস্থ্য দফতরও। হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে। বেড এবং অক্সিজেন সংকট যাতে না হয় সেটাক দেখার কথা বলা হয়েছে।