হোয়াইট হাউজ ছাড়ার সময়েই ইলন মাস্ক বলেছিলেন তিনি হোয়াইট হাউজে আসবেন। দরকারে ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে পরামর্শও দেবেন। কিন্তু ট্রাম্পপ বোধহয় বুঝতে পারেননি এভাবে বন্ধুর খোঁচা খেতে হবে। কারণ ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে মাস্ক জানিয়েছেন এক জঘন্য কাজ করেছেন তিনি।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: মাত্র কয়েকদিন আগেই জনকল্যাণমূলক বিলে স্বাক্ষর করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘একটি বড় সুন্দর বিল’ আর শুরু থেকেও তার সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের সদ্যপ্রাক্তন সদস্য তথা মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোন কোন ক্ষেত্রে ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত বিল নিয়ে তিনি হতাশ, প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন। এবার আরও একবার এই বিল নিয়ে তিনি জানালেন এই বিল আসলে এক ‘অতি জঘন্য কাজ’।
মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনের আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যে দফতরের কাজই ছিল প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কাটছাঁট এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়। সেই জায়গা থেকে মাস্ক উপলব্ধি করেছিলেন এই বিল সেই ভাবনার একেবারে বিপরীতপন্থী আর তাই এই বিলের বিরোধিতা করে মাস্ক সেই সময় বলেছিলেন যে, ‘‘কোনও বিল একই সঙ্গে বড় এবং সুন্দর হতে পারে না। তাঁর দফতর ট্রাম্প প্রশাসনের অন্দরে থেকে এত দিন যে কাজ করে এসেছে, সেগুলি ব্যর্থ হয়ে যাবে এই একটি বিলের কারণে।
এবার এই নয়া বিলের তীব্র সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে মাস্ক জানান, এই আইনের জন্য ব্যয় করা আসলে ‘অত্যন্ত জঘন্য কাজ’! যাঁরা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এটা তাঁদের লজ্জা। তাঁরা জানেন যে তাঁরা ভুল করেছেন। না, এখানেই থামেননি মাস্ক। এর পরেই আরও একটি পোস্ট করে দাবি করেন, বিলটি আমেরিকার আর্থিক ঘাটতি আরও বৃদ্ধি করবে। মাস্কের মতে, ‘আমেরিকা দেউলিয়াও’ হয়ে যেতে পারে!
তবে বন্ধুর এহেন কটাক্ষ মোটেও মুখ বুজে সহ্য করেননি ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের তরফে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন মাস্কের এই বক্তব্যে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কোন বদল আসবে না। প্রেসিডেন্ট জানেন এই বিল নিয়ে মাস্কের অবস্থান! তাই সেই কথাকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। এই ‘সুন্দর বিল’ নিয়ে প্রেসিডেন্ট তাঁর সিদ্ধান্তে অটল।
মাস্ক যখন হোয়াইট হাউজ ছাড়ছেন বলে জানা গিয়েছিল তখন অনেকেই বলেছিলেন এই বিল নিয়ে মাস্ক-ট্রাম্প বৈরিতার কারণেই নিজের জায়গা ছাড়ছেন মাস্ক। যদিও সেই সময় বলা হয়েছিল মাস্কের মেয়াদ ফুরিয়েছে কিন্তু মাস্কের বক্তব্য ফের তাদের দ্বন্দ্ব-জল্পনাকেই যে বাড়িয়ে দিল তা বলাই বাহুল্য।