নিজে বি-টেক ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু আমের প্রতি ভালোবাসা বাঁকুড়ার নিত্যানন্দ কে টেনে এনেছে আম বাগানে, যে বাগানে এখন ১২৫ প্রজাতির আম ফলাচ্ছেন তিনি।
মিলন কর্মকার, বাঁকুড়া- পেশার থেকে নেশা যখন বড় হয়ে যায় তখন কখনও কখনও তা লাভজনকও হয়। উদাহরণ বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির পাকতোড় গ্রামের নিত্যানন্দ গড়াই। নিজে বি-টেক ইঞ্জিনিয়ার হয়েও সরকারি চাকরি ছেড়ে আম চাষে মেতেছেন তিনি। নিজের বাগানে ফলিয়েছেন ১২৫ প্রজাতির আম। নিত্যানন্দের বাগানের আম এখন পাড়ি দিচ্ছে জাপান, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশে। নিত্যানন্দের কথায়, “আমি আম খেতে ভালোবাসি। তাই চাকরি ছেড়ে আম চাষ শুরু করেছি।”
শুরু করেছিলেন খুব ছোটো করে। কিন্তু এখন ১২৫ প্রজাতির আম ফলিয়েও থেমে থাকতে রাজি নন নিত্যানন্দ। আরো নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান করে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর বাগানে বিখ্যাত ‘মিয়াজাকি’ আম ফলিয়েও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নিত্যানন্দ। এছাড়াও দেশী, বিদেশী প্রায় সব রকমের আমই তিনি চাষ করেন। নিত্যানন্দের বাগানের আম বিদেশে তো যায়ই, তার পাশাপাশি দিল্লির মেলা বা মুম্বাইয়েও যাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর আমের বেশ ভালো চাহিদা আছে জানিয়ে নিত্যানন্দ বলেন, “মালদহ বা মুর্শিদাবাদের আমের কথা তো সবাই বলে।কিন্তু বাঁকুড়ার আম, বিশেষ করে তাঁর বাগানের আম স্বাদে ও গন্ধে মালদহ মুর্শিদাবাদের আমকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।” এবছর ফলন বেশ ভালো হয়েছে, ফলে আর্থিকভাবেও আম চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন নিত্যানন্দ। স্বভাবতই বেশ খুশিও তিনি।