পাকিস্তানের ৬টি যুদ্ধবিমান মেরে নামিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এছাড়াও পাকিস্তানের দুটি বড় বিমানও নষ্ট করা হয়েছে। মনুষ্যহীন ১০টির বেশি এয়ার ভেহিকেল ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও সি-১৩০ পরিবহণ বিমান এবং একাধিক ক্রুজ মিসাইল টার্গেট করা হয়েছে।
মাম্পি রায়, সাংবাদিক- পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় বেছে বেছে হিন্দু নিধন। তার পরই কড়া প্রত্যাঘাত ভারতের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় বায়ুসেনার মারে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাক বায়ুসেনা। পাকিস্তানের ৬টি যুদ্ধবিমান মেরে নামিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এছাড়াও পাকিস্তানের দুটি বড় বিমানও নষ্ট করা হয়েছে। মনুষ্যহীন ১০টির বেশি এয়ার ভেহিকেল ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও সি-১৩০ পরিবহণ বিমান এবং একাধিক ক্রুজ মিসাইল টার্গেট করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে মজুদ করা তথ্যের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতেই জানা গিয়েছে ভারতকে নিশানা করতে আসায় পাকিস্তানের ৬টি যুদ্ধবিমান আকাশেই মেরে নামানো হয়েছে। একটি বড় যুদ্ধবিমান নষ্ট করা হয়েছে। যা বৈদ্যুতিন যুদ্ধে ব্যবহার করত পাকিস্তান। এছাড়া আকাশে ঘুরেও নজরদারি চালাত বিমানটি। কিন্তু ভারতের এস-৪০০ বা সুদর্শন চক্রের আঘাতে ৩০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে পাক বায়ুসেনার সেই বিমান।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের ভোলারি এয়ারবেসেও হামলা চালানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠ থেকে হাওয়ায় আক্রমণকারী ক্রুজ মিসাইলের ব্যবহার করেছে ভারত। হ্যাঙ্গারে আরও বেশ কয়েকটি বিমান মজুদ করা ছিল। কিন্তু হামলার পর বিমানের ধ্বংসাবশেষও সরায়নি পাকিস্তানি সেনা। সেজন্য কতগুলি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে, সেবিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভারতীয় বায়ুসেনার ব়্যাডার ও মিসাইল সিস্টেম পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিল। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় পাকিস্তানি বায়ুসেনার একটি সি-১৩০ পরিবহণ বিমান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে হামলার জন্য শুধুমাত্র শূন্য থেকে হামলাকারী ক্রুজ মিসাইলের ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে আক্রমণকারী ব্রাহ্মোস মিসাইল তো ব্যবহারই করা হয়নি।
ভারতের রাফেল এবং সুখোই-৩০ বিমান পাক বায়ুসেনার একটি হ্যাঙ্গারে হামলা চালায়। যেখানে চিনের তৈরি উইং লুং সিরিজের একাধিক ড্রোন ছিল। সমস্ত ড্রোনই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই ড্রোনগুলি অনেক উঁচুতে উড়তে পারত। সূত্রের খবর, ১০-এর বেশি মনুষ্যহীন কমব্যাট এরিয়েল ভেহিকেলকে মেরে নামানো হয়েছে। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানি বায়ুসীমার মধ্যেই তাদের ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের একাধিক ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল আকাশেই নষ্ট করা হয়েছে। এই মিসাইল ভারতীয় এয়ারবেসকে নিশানা করেছিল। সেজন্য তা আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতের সুদর্শন চক্র।
এখনও পর্যন্ত অপারেশন সিঁদুর সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সংঘর্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সহ একাধিক তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। তার বদলা নিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারত। ৭মে রাতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ১০ মে পর্যন্ত চলে সেই সংঘর্ষ। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয় পাকিস্তানকে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় পাকিস্তানের। অবশেষে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানান পাকিস্তানের ডিজিএমও। তারপর অপারেশন সিঁদুর স্থগিত করে ভারত।
অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের কী ক্ষতি হয়েছে, সেটা তো জানা গেল, কিন্তু ভারতের কী ক্ষতি হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। কয়েকদিন আগে সিঙ্গাপুরে একটি সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান বলেন, অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় বিমানও ধ্বংস করা হয়েছে। তার ফলে দেশে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে মোদী সরকার। তারপর গত মঙ্গলবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আবারও মুখ খুললেন জেনারেল চৌহান। তিনি বলেন, অভিযানে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং তার ফল অনেক বেশি জরুরি। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখেই কি এই প্রতিক্রিয়া জেনারেল অনিল চৌহানের ? এমনই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।