এক জায়গায় কাজ করার জন্য ডেকে পানশালায় কাজ করার জন্য চাপ। রাজী না হওয়ায় তরুণীর উপর অকথ্য অত্যাচার ও পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দিলো এক তরুণ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের।
সুব্রত পাল, উত্তর ২৪ পরগণা – বছর ২৩ এর এক তরুণীকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করার জন্য ডেকে পাঠিয়ে তাকে পানশালায় কাজ করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠলো হাওড়ার এক তরুণের বিরুদ্ধে। পানশালায় কাজ করতে না চাওয়ায় তাকে নিজের বাড়িতে আটকে রেখে তার উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ ওই তরুণীর। অভিযোগের তদন্তে নেমেছে খড়দহ থানার পুলিশ।
সোদপুর সুখচরের বাসিন্দা বছর ২৩ এর তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় হাওড়ার ডোমজুরের আরিয়ান খানের। পরিচয় সূত্রেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে ডোমজুরের বাড়িতে ডেকে পাঠায় আরিয়ান। অভিযোগ এরপর তরুণী কাজের জন্য ডোমজুরে গেলে সেখানে আরিয়ান ও তার মা শ্বেতা খান তাকে বাড়িতে আটকে রাখে। তার মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর আরিয়ান ও তার মা ওই তরুণীকে পানশালায় ড্যান্সার হিসাবে কাজ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তরুণী রাজি না হওয়ায় তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়, তাকে দিয়ে বাড়ির কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। এইসব কাজ করতে না চাওয়ায় তরুণীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালায় আরিয়ান ও তার মা শ্বেতা।
অভিযোগ, মাথার চুল কেটে দেওয়া, গোপনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া সহ একাধিক ভাবে ওই তরুণীর উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়। চিৎকার করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি ওই তরুণীর কিডনি বিক্রি করে তাকে পতিতালয়ে বেচে দেওয়ার ও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গতকাল ভোরে কোনরকমে ডোমজুর থেকে পালিয়ে আসে তরুণী। এরপর তাকে প্রথমে খড়দহের বলরাম হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। আরিয়ান খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খড়দহ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।