ওয়েব ডেস্ক: হাতির তাণ্ডবে ঘরবাড়ি খুইয়েছেন এমন ঘটনা বনভূমি পার্শ্ববর্তী গ্রামে খুব নতুন নয়। হাতির পাল গ্রামে ঢুকে ক্ষেত, খামারে নষ্ট করেছে ফসল। ক্ষতিও হয়েছে, এমন খবর সংবাদ শিরোনামে বহুবার উঠে এসেছে। সেই হাতির হামলা থেকে বাঁচতে অভিনব পদ্বতি নিয়েছে গ্রামের মানুষ। গজবাহিনীর তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে ঘর বাড়ি ছেড়ে গোটা গ্রাম সুদ্ধু লোক উঠে পড়েছে গাছে!
এমনই ভাবে রাতের পর রাত কাটাচ্ছে ওড়িশার কেওনঝড়ের কুসুমিতা গ্রামের বাসিন্দারা। হাতির তাণ্ডবে ঘর-বাড়ি সবই গেছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের। ফের ঘর বানিয়ে নেওয়ার সাধ্যও নেই। তাই উপায় না পেয়ে গাছেই বাসা বেঁধেছে গ্রামের মানুষ।
গাছের ডালে খড় বিছিয়ে পাখির বাসার মতো বানিয়ে ফেলেছে তারা। গাঠের ডাল-পালা জোগাড় করে মই বেঁধে নিত্যদিন গাছে সহজে ওঠা নামার ব্যাবস্থা করেছেন গ্রামবাসীরা।
তাদের বক্তব্য এর ফলে গাছে উঠে ঘরবাড়ি উপরে ফেলতে পারবে না হাতির দল। বিশেষত, গ্রামে হাতির পাল আসে খাবারের খোঁজেই, ধানের গোলা গুলোই তাদের লক্ষ্য থাকে। আর সেগুলো নষ্ট করতেই তাণ্ডব চালায়।
হাতির ভয়ে রোদে,ঝড়ে জলে প্রকৃতির বুকে এভাবেই রাত কাটিয়ে চলেছে এই গ্রামের মানুষ। কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে গাছের ও ক্ষেতের চারপাশে। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি এরপরেও। ওড়িশার বন দফতর সূত্রের খবর, কেওনঝড় জেলায় মোট ৫০টি হাতি আছে।
এর মধ্যে ১০ টি দাঁতাল হাতির পাল কেওনঝড়ের কুসুমিতা গ্রামে ঘনঘন যাতায়াত করে। গত দু মাসে ওই গ্রামে প্রায় ১০০ বাড়ি হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ। সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত মেলেনি ক্ষতিপূরণ। তবে বন দফতর সূত্রে ওই হাতিগুলিকে ধরতে ১০০ জন বন কর্মী ওই অঞ্চলে ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে।
কেওনঝড়ের বনদফতরের আধিকারিক সন্তোষ যোশী জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা হাতি আসার আগেই টের পেয়ে যান। তাই তাদেরকেই বনদফতরকে মুহুর্তের মধ্যে জানানোর কথা বলা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে হাতিদের ধরার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।