চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে 1-1 গোলে ড্র করল রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই ছন্নছাড়া ছিল রিয়াল মাঝমাঠ। মাঝে মধ্য চকিতে আক্রমন ছাড়া কিছুই করতে পারছিলেন না রিয়াল ফুটবলাররা। বারবার আক্রমনে একা পড়ে যাচ্ছিলেন করিম বেঞ্জিমা। তুলনায় অনেক বেশি আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে ম্যানচেষ্টার সিটি। আওয়ে ম্যাচে খেলতে এসেও যেভাবে রিয়াল রক্ষণে চাপ রেখেছিল পেপ গুয়ার্দিওয়ালার ছেলেরা, তাতে প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ার কথা ইপিএলের এই দলের। কিন্তু রিয়াল গোলের তলায় হঠাত্ই যেন প্রথমার্ধে দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন বেলিজায়ান গোলরক্ষক থিবুট কুর্তোয়া। একাই বার তিনেক দলের নিশ্চিত পতন রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক। কিছুটা খেলার গতির বিরুদ্ধেই প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় রিয়াল। 36 মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বমানের গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। জুনিয়ারের জোড়ালো শট, সঙ্গে অনবদ্য প্লেসিংয়ের জন্য কোনও জবাবই ছিল না সিটি গোলরক্ষক এডারসনের। দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে থাকায়, আক্রমনে ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। জুনিয়ারের মতোই অনবদ্য দক্ষতায় গোল করে বওয়ে ম্যাচে সিটিকে সমতায় ফেরান কেভিন দি ব্রুইন। বক্সের বাইরে থেকে অনবদ্য প্লেসিংয়ে কুর্তোয়াকে পরাস্ত করেন ব্রুইন। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকবার নিশ্চিত গোল অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক কুর্তোয়াব না হলে ঘরের মাঠে হারতে হত লস ব্লাঙ্কোসদের। বার্নাবযুতে যে ফুটবল রিয়াল দেখালো, তাতে ইংল্যান্ডে গিয়ে অনবদ্য কিছু করে দেখাতে না পারলে, ফাইনালের টিকিট আর হাতে পাওয়া হবে না তাঁদের। আগামী সপ্তাহে ফিরতি লেগ ইংল্যান্ডে, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লেগে ম্যাচ ড্র হওয়ায় বডভান্টেজ ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.