সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ পরিচালক তরুণ মজুমদারের শারীরিক অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। তার চেতনার মাত্রা ক্রমশ কমছে। বাড়ছে ড্রাউজিনেস। ধরা পড়েছে সেপ্টিসেমিয়া। এই সমস্ত কারণেই চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। আজ তার অক্সিজেন নল খোলার পরিকল্পনা থাকলেও, সেই নল না খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন চিকিৎসকেরা। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত, আপাতত অক্সিজেন একইভাবে দেওয়া হবে। ৪-৬লিটার অক্সিজেন তাকে দিতে হচ্ছে। আচ্ছন্নভাব নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা।
এই মুহুর্তে যথেষ্ট সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন তরুণ মজুমদার। বয়স জনিত কারণে তার বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে তাকে। বুধবার ফের মেডিক্যাল বোর্ড বসেছিল। চিকিৎসকদের মূল চিন্তা তার বয়স এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা। এই কারনে বুধবার ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওযা হল যাতে কোনও ভাবে গলার অক্সিজেন সরবরাহকারী নল খুলে মুখ দিয়েই অক্সিজেন দেওয়া যায়। এর ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা কমবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর তার কিডনি এবং হার্টের অবস্থা খুবই খারাপ।তার হাইপো থাইরয়েডিজম রয়েছে। যার রিপোর্ট ভাল নয়। স্বাভাবিকের তুলনায় যার মাত্রা ১০০- র বেশি। এটা বিপজ্জনক মাত্রা। যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও প মাল্টি অর্গান ফেলিওরের প্রবণতা বাড়ায় ক্ষতি করতে পারে। শ্বাস কষ্ট থাকায় শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রতি ঘন্টায় ৪ থেকে ৬ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তরুণ মজুমদার মূলত এসপিরেশন নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত।
জানা গিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে তরুণ মজুমদারের কিডনির সমস্যা ছিল। এছাড়াও ৯২ বছরের পরিচালক ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। ডায়াবেটিসও রয়েছে তাঁর। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম বর্ষীয়ান পরিচালককে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়।