Date : 2024-04-26

কেন বার বার পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে!রাজ্যে রিপোর্ট তলব

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি হোক বা সামাজিক কর্মসূচি বারবার বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কেন তাকে বার বার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে? রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।

বিভিন্ন সময় কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষেই রায় দিয়েছেন। রাজ্যের যেকোন স্থানে বিরোধী দলনেতা যাতে অবাধে যাতায়াত করতে পারেন স্যার তারা নিশ্চিত করবেন রাজ্য পুলিশ প্রশাসন তা সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশ কেন বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে তা নিয়েও মামলায় প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে যাতে বাধা না দেওয়া হয়, তেমন নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরও একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু শুভেন্দু নয়, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিরোধী দলের অনেক নেতাকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এবার তাই নতুন করে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। বিরোধীদের জন্য যাতে নতুন গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া হয়, সেই আর্জিই জানানো হয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে হয় সেই মামলার শুনানি ।
আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতের নির্দেশের পরেও শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না বলে দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগ, গত ২৫ জুন নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় সভা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। এমনকি বিরোধী দলের সভাপতিকেও বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
আদালতে রাজ্যের তরফে সওয়ালে জানানো হয় সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে কেন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। রাজ্যের বক্তব্য, রাজনৈতিক দলের দুই নেতা এমন বক্তব্য রাখেন যার ফলে উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ায়। নদিয়ার নাকাশিপাড়াতেও একই ঘটনা ঘটে বলে দাবি। রাজ্যের তরফ উল্লেখ করা হয়েছে, দ্রুতগতিতে পদক্ষেপ করায় বর্তমানে সেই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে চার হাজার লোক নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রাজ্যের।

গত বছর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল এই বিষয়ে একটি মামলার শুনানি। আদালত নিৰ্দেশ দিয়েছিল, বিরোধী দলনেতা রাজ্যের যে কোনও প্রান্তেই চাইলে যেতে পারেন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে হাজির হয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন, বিরোধী দলনেতার জন্য রাজ্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি এই ইস্যুতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়। এবার শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বিরোধীদের জন্য নতুন গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া হোক, যাতে আর কোনও অসুবিধা না হয়। শুনানি শেষে রায় দান স্থগিত রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।