কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে। রবিবার সন্ধ্যে থেকে সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ তরজা তুঙ্গে। ঘটনার পর পরই ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তথ্য প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা রয়েছে, আদালতে জানাল সিবিআই। আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব, ডিজিপি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রবিবার সন্ধ্যেয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ডিএসপি তথাগত বর্ধনেরর নেতৃত্বে এদিন ৪০ জনের একটি সিবিআই টিম লাউডন স্ট্রিটে পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দেয়। তল্লাশি করার উদ্দেশ্যও ছিল। কিন্তু আগাম খবর পেরে পুলিস কমিশনারের বাড়ির সামনে জড় হন পুলিস কর্মীরা। সিবিআই অফিসারদের বলা হয়, আপনারা থানায় যান। সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। স্থানীয় থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জোর করে গাড়িতে তোলা হয় সিবিআই কর্তাদের। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় লাউডন স্ট্রিটের। সিবিআই কর্তাদের টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় গাড়িতে। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপীয়ার সরনী থানায়। গাড়ির ড্রাইভারকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে কলকাতা পুলিসের কর্মী-ই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায়। সিবিআই হানার খবর পেয়ে কিছুক্ষনের মধ্যেই সিপির বাড়িতে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিসের সমস্ত পদস্থ কর্তাদের পাশাপাশি এসে পৌঁছন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সিপির বাড়িতেই জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সিজিও কমপ্লেক্স, নিজাম প্যালেস ও জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের বাড়িও ঘেরাও করা হয়। এদিকে, আজ সিবিআই ডিরেক্টর পদের দায়িত্ব নিয়ে আগামীকালের মধ্যেই কলকাতায় আসছেন নতুন সিবিআই ডিরেক্টর ঋষি শুক্লা। সবমিলিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের লড়াইয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.