সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সঠিক পরিকাঠামো ও গাইডেন্স যে কতটা জরুরি তা তারাই জানেন যারা এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হন। সেই কথা মাথায় রেখে ও রাজ্যের ভূমিপুত্ররা যাতে আরো বেশি আইএএস বা আইপিএস হতে পারে তার জন্য ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৈরি হয়েছিলো “সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার।” এই স্টাডি সেন্টার এর প্রয়োজনীয়তা কতটা ছিলো তার প্রমাণ আসতে শুরু করে কয়েক বছরের মধ্যেই। ২০১৯ সালে সর্বভারতীয় UPSC পরীক্ষায় এই স্টাডি সেন্টার এর ১২ জন সফল হন। আর এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের প্রথম দুশো জনের মধ্যে দু’জন আমাদের রাজ্যের যারা মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা এই স্টাডি সেন্টার থেকেই নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছেন।
২৪ সেপ্টেম্বর UPSC পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় শিলিগুড়ির রিকি আগরওয়াল ও বেলঘরিয়ার ময়ুরী মূখোপাধ্যায় যথাক্রমে ৮৭ ও ১৫৯ র্যাঙ্ক(rank) করেছেন। প্রেস্টিজিয়াস এই পরীক্ষায় সফল রিকি আগরওয়াল বলেন,”২০১৮ সাল থেকে এই স্টাডি সেন্টারের সাথে আমি যুক্ত। মাত্র দুই বছরের মধ্যে আমি এতটা সফল হতে পেরেছি তার জন্য এই স্টাডি সেন্টার আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছে।”
এদিকে ২০১৯ এ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৃতীয় বারের চেষ্টায় একেবারে প্রথম ২০০ জনের তালিকায় নাম তুলতে পেরে খুশি ময়ুরী মূখোপাধ্যায়ও এই স্টাডি সেন্টার এর প্রশংসা করলেন। তাঁর মতে,”যেভাবে রাজ্যের আইএএস অফিসাররা তাদের মক টেস্টের কপি চেক করা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন সময় ক্লাসে লেকচার দিয়ে সাহায্য করেছেন, তা ভুলবার নয়।” যে স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। ATI বা Administrative Training Institute এর সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিকের বক্তব্য,”অপেক্ষা করুন। আর কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম একশো বা প্রথম পঞ্চাশ ক্যান্ডিডেট এখান থেকেই বের হবে।”