Date : 2024-04-26

শ্মশানপুরী মারিওপোল

পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক ঃ প্রায় ২ থেকে তিন মাস ধরে চলছে রাশিয়ার আগ্রাসন। আগ্রাসনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর কার্যত বিধ্বস্ত। কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন।ইউক্রেনের দাবি, পুতিন বাহিনীর হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের। কিন্তু কিছুতেই থামছে না রুশ ফৌজের হামলা।এই পরিস্থিতিতে শহরটিতে আটকে থাকা মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে বের করে আনতে মানবিক করিডর তৈরির বিষয়ে একমত হয়েছে কিয়েভ ও মস্কো।ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেন মারিওপোলে আটকে পড়া জনতাকে উদ্ধার করে জাপরজাই শহরে নিয়ে যাওয়া হবে। বুধবার মারিওপোলে নির্ধারিত স্থানে মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তবে সতর্কবার্তা হিসেবে তিনি বলেন, “পরিস্থিতির চাপে প্রস্তাবিত করিডরে প্রয়োজনে বদল ঘটতে পারে।”রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিওপোল ভৌগোলিক ও কৌশলগত দিক থেকে। রাশিয়ার লক্ষ্য ডনবাস অঞ্চলকে যুক্ত করা তাঁর ভৌগলিক মানচিত্রে। আর তার জন্য প্রয়োজন মারিওপোল দখল করা। সেই কারণেই এই শহরটিকে জেতা রাশিয়ার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ।মারিওপোলে যুদ্ধ করছে ইউক্রেনের ৩৬তম মেরিন ব্রিগেড। বন্দর রক্ষায় সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু অস্ত্র বাড়ন্ত।প্রায় অর্ধেক সেনা আহত। এখনও অঙ্গহানি হয়নি যাঁদের, তাঁরা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ হাসি কে হাসবে তা জানে না কেউই। যারা এখনো তাঁদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরাও জানেন না তাঁদের পরিবার পরিজনের কাছে ফিরতে পারবেন কি না। পিছু হটার উপায় তো নেই। তাই শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত তাঁদের লড়াই তাঁরা জারি রাখবে।