Date : 2024-04-27

যুদ্ধের ১০০ দিন পার, বিশ্বজুড়ে খাদ্য সঙ্কটের অশনি সংকেত

সোমদত্তা বসু, নিউজ ডেস্ক : ১০০ দিন অতিক্রান্ত ইউক্রেন যুদ্ধের। একদিকে নাছোড়বান্দা রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিন, অন্যদিকে বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী ত্যাগ করবে না ইউক্রেন। ন্যাটোর সহায়তায় রুশবাহিনীকে পর্যুদস্ত করতে কোনও সুযোগ হাতছাড়া করছেন না জেলন্যাস্কি। জীবনের নিরাপত্তা নেই। যুদ্ধের রেশ পড়ছে গোটা বিশ্বজুড়ে। যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে লাগাম ছাড়া হচ্ছে পেট্রপণ্যের দাম। বাড়ছে খাদ্যশস্যের মূল্য। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে গম, চাল, ভুট্টা। এই ৩টি খাদ্যশস্য অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের আওতায় পড়ে। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগরিকালচারের হিসাব অনুযায়ী এবছর গমের উৎপাদন ৪ মিলিয়ন টন কমে যাবে। একইভাবে হ্রাস পাবে ভুট্টার ফলন। তবে চালের উৎপাদন ৫১৫ মিলিয়ন টন পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিশ্বের সব দেশ ধান বা চালজাত খাদ্যের উপর নির্ভরশীল নয়। এই কারণেই গম ও ভুট্টার ফলন কমলে বিশ্বের বড় অংশের মানুষ চরম খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে পড়তে পারেন। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই গমের দাম ৯১ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে ভুট্টার দাম ৫৫ শতাংশ হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি খাদ্য সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারে। বিশেষত যেসব দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনের থেকে খাদ্যশস্য আমদানির উপর বেশি নির্ভরশীল সেসব দেশে খাদ্যের অভাব দেখা দেবে। আফ্রিকার ২৫টি দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে এক তৃতীয়াংশের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করে। ৫০ শতাংশের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করে ১৫টি দেশ। যুদ্ধের জেরে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্পের সন্ধান করছে দেশগুলি যদিও তা সহজলভ্য নয়। ২০২০ সাল থেকে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। মহামারি বিধ্বস্ত বিশ্বে এখন যুদ্ধ নতুন করে খাদ্য সঙ্কটের সৃষ্টি করছে।