Date : 2024-04-27

সরকার এবং এসএসসির উদাসীনতা ও গাফিলতির দায় তাদেরকেই নিতে হবে! দায় চাকরি প্রার্থীদের ঘাড়ে চাপানো যাবে না কড়া পর্যবেক্ষণ আদালতের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : ২০১৬ সালে নবম দশম একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবং নিয়োগ পরীক্ষা হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেধাতালিকা প্রকাশ হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। অভিযোগ স্কুল সার্ভিস কমিশনের টালবাহানা এবং নানাবিধ ত্রুটির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। যে কারণে চাকরিপ্রার্থীদের বারবার আদালতের শরণাপন্ন হতে হয় নিয়োগ পাওয়ার জন্য।

৬ই এপ্রিল ২০২১সালে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি সারাফ নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু সেই নির্দেশ সত্ত্বেও সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চূড়ান্ত গাফিলতির ফলে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র হাতে পেতে হয় সময় লেগে যায় ৩০ শে নভেম্বর ২০২২এ।

দীর্ঘ সময় নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বেশ কিছু চাকরি প্রার্থীরা। তাদের দাবি কেন তাদের মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে বা তারা নিয়োগের বিবেচিত হওয়ার দিন থেকে তাদের উপযুক্ত বেতন পাবেন না?

মামলাকারি কমল কবিরাজ, সঞ্জয় মাহাতো সহ বেশ কিছু চাকরি প্রার্থীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান চাকরি প্রার্থীরা যেদিন থেকে বিবেচিত হয়েছে ,সেদিন থেকেই তারা বেতন পাওয়ার যোগ্য ।কারণ একই সাথে প্রার্থীরা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীরা তারা বেতন পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদাসীনতা ও গাফিলতির জন্য প্রার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তার জন্য প্রার্থীরা কোনভাবেই দায়ী নয়, সেই কারণে বকেয়া বা নিয়োগে বিবেচিত হওয়া, দিন থেকেই তারা বেতন পাওয়ার যোগ্য।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনে কে নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে এই বিষয়টি সমাধান করতে হবে। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে হবে কেন তাদের নিয়োগপত্র পাওয়ার দিন থেকে বেতন পাবেন না। দীর্ঘ সময় চাকরি প্রার্থীরা, তারা যোগ্য প্রার্থী হওয়াসত্বেও নিয়োগপত্র পেলেন না।