কলকাতা: দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে লোকসভা ভোট। মার্চের শুরুতেই সম্ভবত ঘোষণা হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। সমস্থ রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বদলির সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা। এদিন গ্র্যান্ড হোটেলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সবকটি দলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের আধিরকারিকরা। ২৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনাররা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বিরোধী দলগুলি নির্বাচন কমিশনকে তাদের দাবি গুলি জানায়। বিরোধী দলগুলির মতে, রাজ্যে সুষ্ঠ নির্বাচন করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড় তা সম্ভব নয়। বৈঠকের শেষে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে অভজাভার পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে”। বিশেষ করে সিইও অফিসে অভজাভার নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সিপিআইএম তরফে অশোক রায় নির্বাচন কেন্দ্র গুলিতে ভিভি প্যাড মেশিনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি রাজ্যে এখন থেকেই পুলিশ নিয়োগ করুক নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি বহিরাগতরা যাতে বুথে ঢুকতে না পারে নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন বিরোধীদল গুলি। শুক্রবার ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র-র সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এই বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে জারি হতে পারে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। চার দফায় লোকসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। এপ্রিলের শেষে মে মাস নাগাদ হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ জুন।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.