নয়াদিল্লি: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত মোট সাত দফায় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে কমিশন। ১১ এপ্রিলের পর যথাক্রমে ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে এবং, ১৯ মে ভোট গ্রহণ হবে বিভিন্ন কেন্দ্রে। এই উপলক্ষ্যে রবিবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানান কমিশনকে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সমস্ত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যেও শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া দেশের সমস্ত ভোটারদের সচ্ছন্দভাবে ভোটদানের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এদিন নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত আচরণ বিধি চালু করা হয়েছে। নির্বাচন বিধি শুরু হওয়ার পর থেকে কোন রকম প্রকল্পের উদ্বোধন বা ঘোষণা করতে পারবে না কেন্দ্র বা রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকার। নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারা দেশে জারি হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এদিন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে প্রার্থীদের জমা দিতে হবে মনোনয়ন পত্র। সমস্ত রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বৈঠক হয়েছে সব রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি-র সঙ্গে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুনীল অরোরা। তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে সুষ্ঠভাবে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর কমিশন।” সুনীল আরোরা জানান, এই বছর মোট ভোটার সংখ্যা ৯০ কোটি। এর মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা দেড় কোটি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশ জুড়ে ১০ লক্ষ পোলিং স্টেশনে থাকবে ভিভিপ্যাট। ইভিএম ব্যালট পেপারে থাকবে প্রার্থীদের নামও ছবি।
ইভিএম স্থানান্তরিত করার সময় জিপিএস ব্যবহার করে লোকেশান ট্র্যাক করা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য দেশের সব কেন্দ্রে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে অর্থব্যয় নিয়েও বেশ কিছু নতুন নিয়ম যুক্ত করেছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচারের খরচ সম্পর্কেও নির্বাচন কমিশনকে বিশদে বিবরণ দিতে হবে। এছাড়া প্রতিরক্ষা দফতরের কোন ছবি ব্যবহার করা যাবে না নির্বাচনী প্রচারে।