Date : 2024-04-26

মুভি রিভিউ – কণ্ঠ

ওয়েব ডেস্ক: তৃতীয় সপ্তাহেও হাউসফুল উইন্ডোজ নিবেদিত “কণ্ঠ”। গত ১০মে মুক্তি পেয়েছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘কণ্ঠ’। এ ছবিতে শিবপ্রসাদের চরিত্রের নাম অর্জুন মল্লিক। পেশায় রেডিও জকি। কণ্ঠই যাঁর জীবন। শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কণ্ঠ।যার কণ্ঠের জাদুতেই মন জয় করা । নেশাও বটে। তবে অন্য এক নেশার টানে হঠাৎই জীবনে আসে এক ভয়াবহ বিপর্যয়।

গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হন অর্জুন। চিকিৎসক বুঝিয়ে দেন, ভয়েজ বক্সটাই বাদ দিতে হবে। তারপর শুরু হয় অন্য এক লড়াই। স্ত্রী পৃথার (পাওলি দাম) সঙ্গে পরদিন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে ক্যান্সার, ফোর্থ স্টেজ। দ্রুত অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নচেৎ অর্জুনের জীবন বিপন্ন। এই অপারেশনের শর্ত একটাই, অর্জুনের স্বরযন্ত্র বাদ যাবে। আর পাঁচজনের মতো সে কথা বলতে পারবে না।

তা সত্ত্বেও সাত বছরের ছেলে টুকাই আর স্ত্রী পৃথার মুখের দিকে চেয়ে অপারেশনে সে রাজি হয়…কিন্তু তারপর?? ফলে কণ্ঠের আওয়াজ একেবারে হারিয়ে হয়তো যাবে না। কিন্তু গলা দিয়ে যে আওয়াজ বেরোবে, তা অদ্ভুত। ফলে নতুন করে বাঁচার পাঠ নিতে হবে তাঁকে।

অভিনেতা – পাওলি দাম, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় , জয়া এহসান, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

পরিচালক– শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়

ছবির ধরন– Drama

সময়সীমা– 2 hrs. 24 Min.

আবার লড়াই, সেখান থেকেই আসে কাউন্সেলিং, স্পিচ থেরাপির প্রয়োজনীয়তা। অর্জুনের জীবনেও তাই রোমিলা চৌধুরির ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবার প্রায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে অর্জুন। তার জন্য অনেক চেষ্টা, স্রেফ একটা ঢেকুরই অর্জুনের লজ্জা ভয় কাটিয়ে তাকে আবার খাদ্যনালী দিয়ে কথা বলে উদ্বুদ্ধ করে। জীবনযুদ্ধে অর্জুন জয়ী হয়।

সেই সময়ের লড়াইটা যেন নাড়িয়ে দিয়ে যায় দর্শকাসনে বসে থাকা প্রতিটা মানুষের মনকে। শিবপ্রসাদ ও নন্দিতার “কণ্ঠ” এক ভিন্ন স্বাদের ছবি, এক মৃত্যু থেকে জীবনে ফেরার গল্প।

ছবিতে শিবপ্রসাদ, পাওলি ও জয়ার অভিনয় পর্দা থেকে চোখ সরতে দেয়নি পলকের জন্য। এছাড়াও ছবির সঙ্গে মানানসই এই ছবির গান। তিনটি গানে এখন দর্শকদের মুখে মুখে ফিরছে। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও গুপিবাঘার অংশটি দর্শকের মন কেড়েছে।

শুধু গান, গল্প বা অভিনয় নয়, এক সুখ টানেই জীবনের ভয়াবহ পরিণতি ও সেখান থেকে আবার জীবনে ফেরার মন্ত্র শিখিয়েছে কণ্ঠ। যদিও সে পথ একাধারে জটিল ও যন্ত্রণার। সবমিলিয়ে দর্শকদের মন কাড়ছে কণ্ঠ। তবে জীবনের সমস্ত সাফল্যের মাপকাঠি বোধহয় পুরস্কার মঞ্চে মেলে না। তাই ছবিতে অর্জুনের পুরস্কার পাওয়ার দৃশ্যগুলি কিছুটা হলেও প্রাসঙ্গিকতা হারায়।

আপনি কী কণ্ঠ দেখেছেন? কেমন লাগলো আপনার এই ছবি? আপনার মতামত জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে।