৫ নভেম্বর বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাংগঠনিক বৈঠক ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। পুয়াবাগানে একটি প্রতিকৃতিতে মাল্যদানও করেছিলেন তিনি। বিতর্কের শুরু সেই থেকেই। বিরসা মুন্ডা নামে যার প্রতিকৃতিতে অমিত শাহ মাল্যদান করেছিলেন সেটি আসলে বিরসা মুন্ডার ছিল না। ফুলের মালা তাই কাঁটা হয়ে বিঁধতে দেরি হয়নি। সেই কাঁটা অমিত শাহকে যতটা বিঁধেছে ততটাই বিঁধেছে রাজ্য নেতাদের গায়ে।সোমবার বাঁকুড়া সফরে সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দেওয়ার সুযোগ হারাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।ভুল মূর্তিতে মাল্যদান করায় কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিরসার জন্মবার্ষিকীতে রাজ্যে ছুটি ঘোষণাও করলেন। বাঁকুড়া সফরে চতুর্ডিহি গ্রামে এক আদিবাসী পরিবারে মাটির নিকোনো দাওয়ায় বসে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন অমিত শাহ। সেই খাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, হোটেল থেকে খাবার এনে আদিবাসীদের দাওয়ায় বসে খাওয়ার নাটক করেছেন অমিত শাহ। আদিবাসীদের সঙ্গে কীভাবে মিশতে হয়, তাঁদের মন পেতে হয় তারও সহজপাঠ দেওয়ার উদাহরণ দেওয়ারও চেষ্টা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। খাতরায় প্রশাসনিক জনসভায় যাওয়ার আগে বেঁকিয়া গ্রামে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে তপসিলি সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে খাটিয়ায় বসে আলাপচারিতায় দেখা যায় তাঁকে। তবে চুপ ছিল না রাজ্য বিজেপিও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যখন যাওয়ার দরকার ছিল তখন জঙ্গলমহলে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ তাই তৃণমূলকে ভুলে গিয়েছে। আর কোনও লাভ হবে না। আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীর এর কী জবাব দেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.